৫ জুলাই ২০২৫ , ২:৪০:৩০ প্রিন্ট সংস্করণ
কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি :
কিশোরগঞ্জের মিঠামইন উপজেলার ধোবাজোড়া গ্রামের আওয়ামী লীগ নেতা জুলাইয়ের অপরাধ সংগঠিত একাধিক মামলার আসামি ওমর ফারুক ভূঁইয়া কারাগার থেকে জামিনে বের হয়ে নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের দলীয় লোকদেরকে নিয়ে গোপন বৈঠকের মাধ্যমে শক্তি বৃদ্ধির কাজে মরিয়া হয়ে উঠেছেন এবং সাংবাদিকসহ তার নিজ গ্রামের লোকজনদের নামে হয়রানী মূলক মামলা দায়ের করেছেন।
জানা গেছে ওমর ফারুক ভূঁইয়া আওয়ামী লীগের স্থানীয় প্রভাবশালী নেতা ।তিনি জুলাইয়ের অপরাধ সংগঠিত ২টি মামলার আসামি। সম্প্রতি মিঠামইন থানার পুলিশ ফারুক ভূঁইয়াকে ঘাগড়া বাজার থেকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করলে বিজ্ঞ আদালত তাকে কিশোরগঞ্জ কারাগারে পাঠান। পরে তিনি উচ্চ আদালত থেকে ২ মামলার জামিন নিয়ে কারাগার থেকে ছাড়া পান। ওমর ফারুক ভূঁইয়া নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী লীগের লোকজনকে নিয়ে রাতে বিভিন্ন গ্রাম গোপন বৈঠকের মাধ্যমে নিজেদের শক্তি বাড়ানোর কাজে লিপ্ত রয়েছেন এবং নেশাগ্রস্ত হয়ে অসামাজিক কাজ করে বেড়াচ্ছেন। সম্প্রতি ওমর ফারুক ভূঁইয়ার নিষিদ্ধ গোপন বৈঠকের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক ভাইরাল হয়েছে। এছাড়াও একটি জাতীয় দৈনিকে তাদের অনৈতিক কর্মকান্ডের সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওমর ফারুক ভূঁইয়া বিগত ২ জুলাই কিশোরগঞ্জ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজী গোলাপ ভূঁইয়াসহ ৮জনকে আসামি করে ৫০০/৫০১/৫০৬/ ১০৯/৩৪ ধারায় মামলা দায়ের করেছেন। মামলা নাম্বার ৩০৮/২০২৫। বিজ্ঞ আদালত তার অভিযোগটি আমলে নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন পি ভি আইকে। গোলাপ ভূইয়ার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান আমি সাংবাদিক পেশায় নিয়োজিত। আমি কখনো এই অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত না। ফারুক ভুইয়া সংবাদপত্রের নীতিমালা অনুসরণ না করে মামলাটি করেছেন। তাকে নিয়ে যে পত্রিকায় সংবাদ ছাপা হয়েছে ওই পত্রিকার প্রতিনিধি আমি না। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে ফারুক ভূঁইয়া অর্থ বাণিজ্যের উদ্দেশ্যে একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে গ্রামের লোকজনকে নানাভাবে হয়রানী করছেন।