৫ জুলাই ২০২৫ , ১২:৩৩:০৫ প্রিন্ট সংস্করণ
বিজয় কর রতন মিঠামইন,( কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি:
মিঠামইন উপজেলার কেওয়ারজোড় ইউনিয়ন এর হেমন্তগঞ্জ গ্রামে আজ শুক্রবার সকালে পূর্ব বিরোধ এর জের ধরে পারভেজ ও মোনাফ গ্রোপের লোকজন বিএনপি সমর্থিত আলী রাজা গ্রোপের উপর হামলার ঘটনায় বিএনপির ৭ কর্মী সমথর্ক আহত হবার খবর পাওয়া গিয়াছে। আহতদের মধ্যে আশঙ্কা জনক অবস্থায় ৭ নং ওয়ার্ড শ্রমিক দলের সভাপতি সায়েম (২৫) কে ভাগলপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এছাড়া ও, সজিব (২৩) ও পলাশ (২১) কে কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যা আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যান্য আহতরা স্হানীয় ভাবে মিটামইন উপজেলা হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছে। জানা যায়, বিগত ৩০ শে মার্চ আওয়ামী লীগ নেতা কাশেম চেয়ারম্যান ও বিএনপি সমর্থিত আলী রাজা গ্রোপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। ওই সময় কাশেম চেয়ারম্যান গ্রোপের হেমন্তগঞ্জ গ্রামের জজ মিয়া নামক এক বৃদ্ধ স্ট্রোক করে মারা যায়। ওই ঘটনায় কাশেম চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা কর্মীদের বিরুদ্ধে খুনের মামলা দায়ের করেন। যাহা পরবর্তীতে ডাক্তারী রিপোর্ট ও পুলিশী তদন্তে মিথ্যা প্রমানিত হয়। ওই ঘটনার সূত্র থেকে বৃহস্পতিবার রাতে বিএনপি নেতা আলী রাজার বাড়ির পাশে আওয়ামী লীগ নেতা আজগর এর বাড়িতে চেয়ারম্যান এর ভাই পারভেজ ও মোনাফ মিয়া দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মজুদ করে।সকাল বেলা আজ শুক্রবার সায়েম, সজীব, পলাশ, সহ আরো কয়েকজন বাড়ি থেকে হেমন্তগঞ্জ গ্রামে খুরশিদ মিয়ার বাড়ি সামনে আশা মাত্রই পারভেজ এর লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তাদের উপর ঝাপিয়ে পড়ে। এই ঘটনায় সময় উপস্থিত কয়েকজন ব্যাক্তি জানান, এ ঘটনা যারা আটকাতে গিয়েছেন তারা ও মার খেয়ে আহত হয়েছেন। ঘটনার পর সংবাদ পেয়ে বিকেলে মিটামইন থানার পুলিশ ঘটনা স্থলে আসেন। কেওয়ারজোড় ইউনিয়ন এর বর্তমান চেয়ারম্যান কাশেম বর্তমানে ইটালি রয়েছেন। তিনি বিগত ৫ এই আগস্টের ঘটনা মিটামইন থানার মামলার আসামি রয়েছেন। পূর্বের ঘটনা তার নেতৃত্বে হয়েছিল বলে এলাকাবাসী জানান। বর্তমানে তার ছোট ভাই পারভেজ ও মোনাফ দলের নেতৃত্বে রয়েছেন। পারভেজ এর সাথে কথা বললে তিনি জানান, এই বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না। সে বিএনপির উপর দায় চাপিয়ে বলেন তারা নিজেরাই মারামারি করে আহত হয়েছেন। আমাদের লোকজন এর উপর হামলা করেছে। বিএনপি নেতা আলী রাজা জানান, পারভেজ গ্রোপের লোকজন রাতের বেলা আজগর এর বাড়িতে জরো হয়ে সকাল বেলা পরিকল্পিত ভাবে আমাদের উপর হামলা চালিয়েছে। কেনো কিছু বুঝার আগেই তারা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমাদের বাড়ি ঘরে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে এবং লুটপাট চালায়। এ ব্যাপারে থানায় মামলার প্রস্ততি চলছে। মিটামইন থানার ওসি আলমগীর কবির জানান, আহতরা চিকিৎসাধিন রয়েছে। ঘটনার সংবাদ পেয়ে এলাকায় পুলিশ পাটিয়েছি অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বার্তা প্রেরক:
বিজয় কর রতন মিঠামইন, কিশোরগঞ্জ।