৪ জুলাই ২০২৫ , ৪:৪৫:১৬ প্রিন্ট সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ- শেখ হাসিনাকে কারাদণ্ড দেয়ার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মো: আল মামুন স্বাক্ষরিত এক লিখিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে (৩রা জুলাই, বৃহস্পতিবার) এই প্রতিবাদ জানানো হয়েছে।লিখিত প্রতিবাদ লিপিতে বলা হয়েছে যে, “জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মিথ্যা ও প্রহসনমূলক মামলায় ক্যাঙ্গারু কোর্টে অবৈধ ও বেআইনিভাবে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেয়ার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ। এই মিথ্যা ও প্রহসনমূলক মামলায় আইন ও ন্যায় বিচারের সকল রীতিনীতি ও নজির লঙ্ঘন করে অবৈধ ও অসাংবিধানিক তথাকথিত অন্তর্বর্তী জঙ্গি সরকার কর্তৃক গঠিত ট্রাইবুনাল একতরফাভাবে এক মাসেরও কম সময়ের মধ্যে এ অবৈধ ও বেআইনি কারাদণ্ড দিয়েছে যা দেশের প্রচলিত আইন ও সংবিধান পরিপন্থী। বাংলাদেশের ইতিহাসে আদালত অঙ্গনে এ ধরনের জঘন্য ঘটনা আর কখনো ঘটেনি। অবৈধ ও অসাংবিধানিক দখলদার খুনি ইউনুসের জঙ্গিগোষ্ঠী দেশে আইনের শাসন ও ন্যায় বিচার যে ভূলুণ্ঠিত করেছে, দেশে বিচারের নামে যে প্রহসন ও ‘বিচারিক সন্ত্রাস’ চালাচ্ছে, এই ঘটনা সেটিই প্রমাণ করে। এই ঘটনা পুরনো ক্যাঙ্গারু কোর্ট মডেলকেও হার মানিয়েছে। বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে কথিত টেলিফোন কথোপকথনে একটি মন্তব্য উল্লেখ করে ৩০ এপ্রিল ট্রাইবুনালে আদালত অবমাননার অভিযোগ দায়ের করে। ট্রাইবুনাল কোন ধরনের আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়ে একতরফাভাবে এই অভিযোগ গ্রহণ করে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে তার নিযুক্ত কোন আইনজীবীর বক্তব্য তারা শুনেনি এবং শোনার সুযোগ দেয়নি। বরং বিদেশে অবস্থানরত জননেত্রী শেখ হাসিনাকে প্রহসনমূলকভাবে ২৫শে মে ট্রাইবুনালে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেয়। আর আজ তাকে কোন ধরনের আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়ে বিনা শুনানিতে ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়েছে। বাংলাদেশের ক্রিমিনাল জাস্টিস সিস্টেমে যেকোন ফৌজদারি মামলায় অপরাধ শতভাগ প্রমাণিত না হলে দোষী সাব্যস্ত করা যায় না। আমাদের অপরাধ আইনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিধান হচ্ছে “Every crime has to be proved beyond any reasonable shadow of doubt’ অর্থাৎ সন্দেহের যেকোনো যুক্তিসঙ্গত ছায়ার ঊর্ধ্বে অপরাধ প্রমাণ করতে হয়। এছাড়া, ট্রাইবুনাল আইনের যে বিধানের উল্লেখ করে এই দণ্ড দেয়া হয়েছে, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কোনভাবেই এই বিধান লংঘন করেননি। বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ মনে করে, বর্তমানে দেশে সর্বত্র মব সন্ত্রাসের যে দৌরাত্ম চলছে, তারই অংশ হিসেবে খুনি ইউনূসের জঙ্গি গোষ্ঠীর নির্দেশে একইভাবে দেশে বিচারিক সন্ত্রাস ও প্রহসন চলছে। এরই ধারাবাহিকতায় আজ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনাকে প্রহসনমূলকভাবে এক মাসেরও কম সময়ের মধ্যে একতরফা ভাবে ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়েছে। আমরা মনে করি, খুনি ইউনুসের এই জঙ্গি অন্তবর্তী সরকার দেশকে ক্রমাগত ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। এই ধ্বংসলীলার বিরুদ্ধে জনগণ ফুসে উঠছে। দেশের সকল বিবেকবান মানুষের কাছে আমাদের আহ্বান, এই অন্যায়, অবিচার এবং আইনের শাসন ও বিচার ব্যবস্থা ধ্বংসের বিরুদ্ধে আপনারা সোচ্চার হোন। পাশাপাশি, বিশ্ব বিবেকের কাছেও আমাদের একই আহ্বান। আমাদের বিশ্বাস, দেশের জনগণ এই ধ্বংসযজ্ঞের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবার প্রস্তুতি নিচ্ছে। দেশের জনগণকে সাথে নিয়ে আমরা দেশ ধ্বংসকারী এই খুনি চক্র, জঙ্গি গোষ্ঠীকে প্রতিহত করব। বিজয় আমাদের হবেই। জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু।”