দেশজুড়ে

হোপপীরহাটা দারুল উলুম দ্বি মুখি দাখিল মাদ্রসার সুপারের বিরুদ্ধে সহকারী শিক্ষককে হয়রানির অভিযোগ

ডেস্ক রিপোর্ট

১৫ মার্চ ২০২৩ , ৬:৫৭:৪৪ প্রিন্ট সংস্করণ

 

নিজস্ব প্রতিবেদনঃ
জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলার হোপপীরহাটা দারুল উলুম দ্বি মুখি দাখিল মাদ্রসার সুপার খলিলুর রহমানের বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যমূলকভাবে একই মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষককে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে।

গত দেড় বছরে সুপার ইচ্ছাকৃতভাবে সহকারী শিক্ষককে প্রায় ২০ বার শোকজ করেছেন। অনুপস্থিতির অভিযোগ এনে কেটেছেন বেতন (আসলে তাকে স্বাক্ষর করতে দেন না)। জানা গেছে, সুপারের রোষানলে সেই সহকারী শিক্ষক
মানষিক ভাবে ভেংগে পড়েছেন।

সহকারী শিক্ষক মোঃ জয়নুল আবেদিন বলেন,২০০৫ সালে হোপপীরহাট দারুল উলুম দ্বি মুখী দাখিল মাদ্রায়
যোগদান করি। আর সুপার যোগদান করেন ২০২০ সালে। তিনি কিছু দিনের আমার সাথে ঝামেলা শুরু করে। সুপারের অত্যাচার আর আর নিতে পারছি না। তিনি গত দেড় বছরে আমাকে ২০ বার উদ্দেশ্যমূলকভাবে শোকজ নোটিশ পঠিয়েছেন, আমি সব নোটিশের জবাবও দিয়েছি। আমি গণিতের শিক্ষক বহাল থাকা অবস্থায় আমার পদে সুপার এনটিআরসিএ শূন্য পদের তালিকা দিয়েছেন ফলে আমি সহকারী শিক্ষক থাকা অবস্থায় চাহিদা দেওয়াই হাইকোর্ট বিভাগে সুপারের বিরুদ্ধে রিট আবেদন করেছি৷

সর্বশেষ আমাকে গত ৫ মার্চ ৭ দিন সময় দিয়ে চৌদ্দটি বিষয়ের ব্যাখ্যা চেয়ে শোকজ নোটিশ দেন। নোটিশের জবাব দেওয়ার নির্দিষ্ট সময়ের আগেই কিন্তু তিনি পরদিন
১২ মার্চ আমাকে ৩ দিনসহ পূর্বের অনুপস্থিত দেখিয়ে বেতন কেটেছেন। সুপার কারণে-অকারণে শোকজ নোটিশ দেওয়ায় মানসিক চাপে ইতোপূর্বে ধুঁকে ধুঁকে বেঁচে আছি। সুপারের রোষানলেই হয়তো জীবন শেষ হয়ে যাবে।’ নিজের অসহায়ত্বের কথা উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘গত ৯ মাচ সর্বশেষ নোটিশের জবাব দিয়েছি। উপজেলা শিক্ষা অফিসারের কাছে মৌখিক আবেদন করেও প্রতিকার পাইনি। এবার শেষ ভরসা আদালতে গিয়ে বিচার চাইছি।’

এ বিষয়ে সুপার মোঃ খলিলুর রহমান বলেন, ‘ওই সহকারী শিক্ষক নিয়ম-কানুনের তোয়াক্কা করেন না। কমিটির সিদ্ধান্ত নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে৷ অনপুস্থিতির কারণেই বেতন কাটা হয়েছে। শোকজ নোটিশের জবাবে তিনি কী লিখবেন সেটি দেখার বিষয় না।’

দায়িত্ব শীল সূত্রে জানা যায়, পুনুট দারুল উলুম ও বেওবাড়ি মাদ্রাসায় দাত্বিপালনে বিভিন্ন অনিয়মের কারনে সুপার খলিলুর রহনানের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা আদালতে চলোমান আছে৷

এ বিষয়ে ক্ষেতলাল উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শফিউল্লাহ জানান, বিষয়টি তার জানা আছে। তিনি তদন্ত করে ঘটনার সত্যতা থাকলে প্রয়োজনীয় বিভাগীয় ব্যবস্থা নেবেন।

শেয়ার করুন:

আরও খবর

Sponsered content