ঢাকাশনিবার , ৮ মার্চ ২০২৫
  1. kook
  2. অন্যান্য
  3. অপরাধ
  4. অর্থনীতি
  5. আইন
  6. আন্তর্জাতিক
  7. ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ
  8. ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশ
  9. ঈদগাঁও
  10. কক্সবাজার
  11. কুড়িগ্রাম
  12. ক্যাম্পাস
  13. খেলাধুলা
  14. চাকরি
  15. জাতীয়
আজকের সর্বশেষ সবখবর

গোদাগাড়ীতে রতন দাস এবং গোবিন্দ পালের ষড়যন্ত্রে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের ঐতিহ্যবাহী গৌরাঙ্গবাড়ী মন্দির দেখার কেউ নেই

আতিকুর রহমান (তনি সরকার):-স্টাফ রিপোর্টার
মার্চ ৮, ২০২৫ ১২:১৭ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

 

আতিকুর রহমান (তনি সরকার):-স্টাফ রিপোর্টার
রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলায় যুগ যুগ ধরে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির অনন্য উদাহরণ হয়ে আছে বৈষ্ণব ধর্মের মহাপুরুষ নরোত্তম দাস ঠাকুরের তিরোভাব তিথি মহোৎসব।
রতন দাস এবং গোবিন্দ পালের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাৎ ও দুর্নীতির অভিযোগ করেছেন হিন্দু সম্প্রদায়। এই চোরদের কমিটি থেকে পদত্যাগ চাই স্থানীয়রা। ১৭ বছর ধরে শ্রী পাট খেতুর ধাম টা তারা লুটপাট করে খায় বলে যানা যায়। খেতুর ধাম ট্রাস্ট বোর্ডে ৩০০ বিঘা জমি আর পুকুর আছে, গাভী আছে। শ্রী শ্রী নরত্তম দাস ঠাকুর ময়শায়ের প্রাসাদ বিক্রি হয় ১৫০ টাকা করে। এই টাকা বেশির ভাগই যায় ম্যানেজার গোবিন্দ পালের পকেটে।
শ্রীপাঠ খেতুরি ধামে অনিময়ে ভরপুর মন্দিরের নামে চলছে ধর্ম ব্যবসা বলে জানান হিন্দু সম্প্রদায়।
খেতুর ধাম ট্রাস্ট বোর্ডের বিতর্কিত সদস্য রতন দাস তিনি সবাইকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে। রতন দাস নিজের জমিতে রাস্তা করার জন্যে নিজের সার্থের জন্যে রাতের আধারে খেতুর ধাম ট্রাস্ট বোর্ডের মাটি দিয়ে রাস্তা করছে বলেও যানা যায়। রতন দাস আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকার সময় ১৭ বছর ফারুক চৌধুরীকে নিয়ে অর্থ আত্মসাৎ করেছেন। স্থানীয় সুত্রে জানা যায় রতন দাস খেতুর ধাম ট্রাস্ট বোর্ডের সভাপতি হওয়ার জন্যে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু এখনও রতন দাস এবং ম্যানেজার গোবিন্দ পালের বিরুদ্ধে পাহাড় সমান অভিযোগ এলাকাবাসী ও ভক্তবৃন্দের।
খেতুর ধাম ট্রাস্ট বোর্ডের কর্মচারী এলাকাবাসীরা জানান ম্যানেজার গোবিন্দ পাল এবং রতন দাস এলাকা বাশি ও বাহীর থেকে আশা ভুক্তবৃন্দের সাথে খারাপ আচরণ করে প্রাসাদ চাইতে গেলে জাত তুলে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করতে থাকে। এলাকা বাসি কমিটির বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন মন্দিরের ম্যানেজার গোবিন্দ পাল একজন হুন্ডি ব্যবসায়ী এছাড়াও মন্দিরে বরাদ্দের চাউল এর কিছু অংশ বিক্রি করা হয়, রান্না করা অন্ন ভোগ ১৫০টাকা প্লেট হিসেবে বহিরাগত ভক্ত দের কাছে বিক্রি করা হয় এবং বাহির থেকে আসা ভক্তবৃন্দ রাত্রি যাপন
করলে ঘরের ভাড়া বাবদ টাকাও নেন ম্যানেজার গোবিন্দ পাল । টাকা ছাড়া প্রসাদ পাননা গরিব দুর থেকে আসা ভক্তরা টাকা দিতে না পেরে প্রসাদ না
নিয়ে ফিরে আসার চিত্র হরহামেশাই ঘটে। এইমর্মে এলাকা বাসি সুনন্দন রতন দাস এবং গোবিন্দ পালের বিরুদ্ধে অভিযোগও করেন মন্দির পরিচালনা কর্তৃপক্ষের কাছে পরবর্তীতে অভিযোগের পরে কোন সুরাহা না হলে এলাকাবাসী ও ভুক্তভোগী বর্তমান ট্রাস্ট কমিটির পদত্যাগের দাবি জানান।
হিন্দু সম্প্রদায়ের স্থানীয়রা আরও বলেন, বেশ কয়েক বছর আগে খামারি প্রকল্প থেকে আসা প্রনোদনার বিশ হাজার টাকা আত্মসাৎ এর চেষ্টা করেন ম্যানেজার গোবিন্দ পাল। বিষয়টি এলাকার সজল ঘোষ ও তার শশুর গোবিন্দ ঘোষ জানতে পারে জন সম্মুখে সজল ঘোষ ও গোবিন্দ ঘোষ বিষয়টি নিয়ে আসে এবং প্রতিবাদ গড়ে তোলেন সেই সময়ে বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হলে সেই সময়ের সভাপতি মদন মোহন দে পরবর্তীতে ম্যানেজার গোবিন্দ পাল কে জিজ্ঞেসাবাদ করলে এক পর্যায়ে ম্যানেজার গোবিন্দ পাল অস্বীকার করেন। কিন্তু সজল ঘোষ ধীরে ধীরে প্রমাণ খুঁজতে থাকেন । যখন প্রকৃত বিষয়টি জনসম্মুখে প্রমাণ সহ আসতে থাকে, ঠিক তখন গোবিন্দ পাল স্বীকার করেন যে তিনি তার নিজস্ব খামারের টাকা মনে করে নিজস্ব খাতে রাখেন। সভাপতি মদন মোহন দে এবং সজল ঘোষ এর চাপে ম্যানেজার গোবিন্দ পাল গৌরাঙ্গ দেব বিগ্রহ ট্রাস্ট তহবিলে টাকা জমা দিতে বাধ্য হয় । সভাপতি মদনমোহন দের মৃত্যুর পর সভাপতির দায়িত্ব নেন শ্রী বিদ্যুৎনারায়ণ সরকার তখন থেকেই আবারো বেপরোয়া হয়ে ওঠেন ম্যানেজার গোবিন্দ পাল ভক্তবৃন্দের সাথে খারাপ আচরণ আবারো প্রসাদ বিক্রয় ও গোপনে হুন্ডির ব্যবসা চালাচ্ছেন গোবিন্দ পাল।
এ বিষয়ে ম্যানেজার গোবিন্দ পাল জানান- এসব
আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র। আমি এসবের সাথে জড়িত নই আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা বানোয়াট ও অপপ্রচার চালানো হচ্ছে । এ দিকে এখনো ক্ষুব্ধ রয়েছেন এলাকাবাসী ও ভক্তবিন্দু রতন দাস এবং ম্যানেজার গোবিন্দ পাল সহ টাস্ট বোর্ডের সকল সদস্যদের পদত্যাগের দাবি জানান হিন্দু সম্প্রদায়।
খেতুরীধামে প্রতিবছর সারা দেশ থেকে প্রায় পাঁচ লাখ নরোত্তম ভক্ত এ উৎসবে যোগ দেন। অনেকেই অবস্থান করেন আশপাশের মুসলমানদের বাড়ির উঠানে। স্থানীয় বাসিন্দারা তাদের সর্বাত্মক সহায়তা করেন।
প্রসঙ্গত, ১৫৩১ খ্রিস্টাব্দে ঠাকুর নরোত্তম দাস তৎকালীন গড়েরহাট পরগণার অন্তর্গত বর্তমান রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার পদ্মা তীরের গোপালপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। শৈশব পার করে ঠাকুর নরোত্তম দাস বৃন্দাবন অভিমুখে যাত্রা করেন। সেখানে নিখিল বৈষ্ণবকুল লোকনাথ গোস্বামীর শিষ্যত্ব গ্রহণ করে দীক্ষা লাভ করেন। পরে তিনি খেতুরে ফিরে আসেন। খেতুর মন্দিরে গড়ে তোলেন স্থাপনা। এরপর তিনিই প্রথমে এখানে এ উৎসবের আয়োজন করেন। ভক্তরা দূর-দূরান্ত থেকে তার কাছে এসে দীক্ষা গ্রহণ করতে শুরু করেন।

শেয়ার করুন:

এই সাইটে নিজস্ব সংবাদ প্রকাশের পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে সংগ্রহীত খবর সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করা হয়। কোনো সংবাদ নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে, অনুগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।

 

বিনা অনুমতিতে এই সাইটের প্রকাশিত সংবাদ, আলোকচিত্র, অডিও বা ভিডিও কনটেন্ট ব্যবহার করা আইনত দণ্ডনীয়।