অন্যান্য

নির্বাসিত সত্যের কান্না

ডেস্ক রিপোর্ট

৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ , ৩:১৬:৩০ প্রিন্ট সংস্করণ

নির্বাসিত সত্যের কান্না
জহিরুল ইসলাম ইসহাকী

যুগের ইতিহাস বলে, যখন অন্যায়ের অন্ধকার চেপে বসে, তখন সত্যের কণ্ঠ রুদ্ধ করতে শাসকেরা নানা ফন্দি আঁটে। হাসিনার আমলও ছিল তেমনই এক দুঃসময়, যখন আলেমদের কণ্ঠে শেকল পরানো হয়েছিল, সত্য উচ্চারণ ছিল অপরাধ, আর ধর্মীয় কথা বলা ছিল এক নিষিদ্ধ অধ্যায়।

মিম্বর থেকে ভেসে আসতো না ন্যায়ের বজ্রকণ্ঠ, বাতাসে ছিল ভয়ের শীতলতা। আলেমদের চোখে ছিল শঙ্কা, মনে ছিল অবরুদ্ধ ব্যথা। কোরআনের বাণী, রাসূলের আদর্শ যেন বন্দি ছিল এক অদৃশ্য শৃঙ্খলে। যারা সত্য বলেছে, তারা হয়েছিল অপদস্থ, কেউ কেউ কারাগারের অন্ধ প্রকোষ্ঠে বিলীন হয়েছে।

মসজিদে প্রবেশ করেও মানুষ ধর্মীয় আলোচনা শুনতে পারতো না। খুতবার ভাষায় ছিল সংকোচ, মাহফিলের মাইকে ছিল স্তব্ধতা। কোরআনের তাফসির ছিল পর্দার আড়ালে, হাদিসের বয়ান ছিল রাষ্ট্রের চোখে অপরাধ। আলেমদের জীবন যেন ছিল এক নীরব বন্দিত্বের প্রতিচ্ছবি।

কিন্তু সত্য কখনো চিরতরে নির্বাসিত থাকে না। ইতিহাস বলে, অন্যায়ের শাসন দীর্ঘস্থায়ী হয় না। একদিন আসে মুক্তির সুবাতাস, সত্য ফিরে পায় তার স্বাভাবিক উচ্চারণ। হাসিনার আমল ছিল এক দুঃস্বপ্নের মতো, যেখানে ইসলামকে দাবিয়ে রাখার চেষ্টা করা হয়েছিল, কিন্তু সত্যের আলো কখনো নিভে যায় না।

আজও বাতাসে প্রতিধ্বনিত হয় সেই চাপা দীর্ঘশ্বাস—যে সময় সত্যের সৈনিকদের বন্দি করা হয়েছিল, যে সময় ইসলামের আলোকে আড়াল করতে চেয়েছিল একশ্রেণির শক্তি। কিন্তু ইতিহাস সাক্ষী, যে জাতি আলেমদের কণ্ঠ রুদ্ধ করে, তারা একদিন নিজেরাই ধ্বংস হয়। কারণ আল্লাহর বিধান মুছে ফেলার ক্ষমতা কারও নেই, সত্যের কণ্ঠস্বর কখনো চিরতরে স্তব্ধ হয় না!

শেয়ার করুন:

আরও খবর

Sponsered content