স্টাফ রিপোর্টার
সজিব হোসেন
গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার জাতীয় নাগরিক কমিটি এবং বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন একত্রে অন্যায়ের বিরুদ্ধে কাজ করে যাচ্ছে এই পরিপ্রেক্ষিতে সুত্রাপুর ইউনিয়নের উওর গজারিয়া এলাকায় বরিবার সন্ধ্যায় দ্বিতীয় শ্রেণীর এক শিক্ষার্থী ধর্ষণের শিকার হলে মাত্র চব্বিশ ঘন্টার মধ্যে আইনের আওতায় আনেন। ধর্ষণের শিকার দ্বিতীয় শ্রেণীর শিক্ষার্থী , উওর গজারিয়া এলাকার অখিল চন্দ্র মনিদাসের মেয়ে (৭)। তিনি গজারিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণীতে লেখাপড়া করেন। ঘটনাটি ঘটিয়েছে উত্তর গজারিয়া এলকার মৃত অমিল্য চন্দ্র মনিদাসের ছেলে হরেন্দ্র চন্দ্র মনিদাস (৩৫)। এলাকাবাসীর সূএে জানা যায়, রবিবার দিনটি ছিল সনাতনী হিন্দু ধর্মালম্বীদের সরস্বতী পূজার প্রথম দিন। এইদিনে প্রতিবেশি কাকা হরেন্দ্র চন্দ্র মনিদাস শিশুর নিজ বাড়ি থেকে কোলে তোলে নিয়ে ঠাকুর বাড়ি সরস্বতী পূজা দেখানোর কথা বলে নিয়ে যায়। কিছুপর পর শিশুর মেঝো বোন সিনথিয়া মনিদাস অনেক খোঁজাখুঁজির পর হরেন্দ্র চন্দ্রের বাড়িতে টয়লেট বন্ধ দেখে সন্দেহ হয়। দীর্ঘ সময় টয়লেট বন্ধ থাকার কারনে সিনথিয়া হরেন্দ্র কাকাকে ডাকতে থাকে। কিন্তু হরেন্দ্র জানান ও ঠাকুর বাড়িতে আছে। কিন্তু সিনথিয়ার ধাক্কাধাক্কিতে একপর্যায় টয়লেটের দরজা খুলে এবং শিশুটিকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দেন। মঙ্গলবার ৪ ফেব্রুয়ারি দুপুরে ওই শিশুকে কালিয়াকৈর থানার পুলিশ উদ্ধার করে এবং ৫ ফেব্রুয়ারি বুধবার জাতীয় নাগরিক কমিটি এবং বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধিরা ঘটনা পর্যবেক্ষণ করে থানায় গিয়ে এ ব্যাপারে আলোচনা করে।
এরপর ই দুপুর তিনটার দিকে হরেন্দ্র চন্দ্র মনি দাস কে মির্জাপুর থেকে আটক করে কালিয়াকৈর থানায় আনা হয়।
এই সাইটে নিজস্ব সংবাদ প্রকাশের পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে সংগ্রহীত খবর সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করা হয়। কোনো সংবাদ নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে, অনুগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।
বিনা অনুমতিতে এই সাইটের প্রকাশিত সংবাদ, আলোকচিত্র, অডিও বা ভিডিও কনটেন্ট ব্যবহার করা আইনত দণ্ডনীয়।
