ধর্ম

স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে ছাত্র জনতার গর্জন

ডেস্ক রিপোর্ট

৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ , ১২:০১:৩৯ প্রিন্ট সংস্করণ

জহিরুল ইসলাম ইসহাকী

দেশের আকাশে আজ অন্যরকম এক সূর্যোদয় হয়েছে। চারদিকে গর্জে উঠেছে প্রতিবাদের স্লোগান, বিদ্রোহের চিৎকার। ছাত্র জনতার রক্তগরম কণ্ঠে ধ্বনিত হচ্ছে এক নতুন দিনের বার্তা— বৈষম্যের অবসান, স্বৈরাচারের পতন!

হাসিনা ও তার ধূসরদের গড়ে তোলা অন্যায়ের অট্টালিকা ভেঙে ফেলার শপথ নিয়ে হাজারো তরুণ নেমেছে রাজপথে। তাদের চোখে জ্বলজ্বল করছে ন্যায়বিচারের অগ্নিশিখা, বুকের গভীরে প্রতিধ্বনিত হচ্ছে গণমানুষের আকাঙ্ক্ষা।

এই ছাত্র জনতা স্রেফ কোনো দাঙ্গাবাজের দল নয়, তারা এক নবজাগরণের অগ্রদূত। বছরের পর বছর ধরে শোষণ-নিপীড়ন আর স্বৈরশাসনের গ্লানি সয়ে অবশেষে তারা ঘুরে দাঁড়িয়েছে। বঞ্চিত, লাঞ্ছিত, অবহেলিত প্রতিটি তরুণের হৃদয়ের ক্ষোভ আজ রূপ নিয়েছে এক অভূতপূর্ব বিপ্লবে।

শহরের রাজপথ থেকে শুরু করে প্রত্যন্ত গ্রাম পর্যন্ত এক সুর— “স্বৈরাচার নিপাত যাক! গণতন্ত্র মুক্তি পাক!”
এই কণ্ঠস্বর কেবল এক শহরের নয়, কেবল এক গোষ্ঠীর নয়— এটি সমগ্র জাতির হৃদয়ের আওয়াজ।

হাসিনা ও তার ধূসর সাম্রাজ্যের প্রতিটি অন্যায় স্থাপনা ছিল নিপীড়নের প্রতীক, ছিল গরিবের কান্না আর অবিচারের ফল। সেগুলো চূর্ণ করে ছাত্র জনতা প্রমাণ করেছে— শাসকের শক্তির চাইতে জনগণের ঐক্য অনেক বড়! ইতিহাস সাক্ষী, যখন ছাত্র সমাজ একবার জেগে ওঠে, তখন কোনো স্বৈরশাসকের শক্তি তাকে দমিয়ে রাখতে পারে না।

এই সংগ্রাম শুধু একটি সরকারের বিরুদ্ধে নয়, এটি শত বছরের শোষণ-অত্যাচারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ। আজকের এই বিপ্লবের মশাল নেভানোর ক্ষমতা কারও নেই, কারণ এটি কেবল ইট-পাথরের ভাঙচুর নয়, এটি অন্যায়ের বিরুদ্ধে চিরন্তন এক যুদ্ধ।

নতুন ভোরের প্রত্যাশা

এই ধ্বংসের মধ্যেই আছে সৃষ্টির সম্ভাবনা। স্বৈরাচার ধ্বংস হোক, তাতে দুঃখ নেই— কারণ ছাত্র জনতা স্বপ্ন দেখে একটি বৈষম্যহীন নতুন ভোরের। সেই ভোরে থাকবে না অন্যায়ের ছায়া, থাকবে না ক্ষমতাবানদের স্বেচ্ছাচার। থাকবে কেবল গণতন্ত্র, ন্যায়বিচার ও মানুষের অধিকার।

আজকের সংগ্রাম শুধু এক দিনের নয়, এটি একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা। এই ছাত্র জনতার পদচারণায় ভবিষ্যৎ গড়ে উঠবে, এই বিদ্রোহী কণ্ঠস্বর একদিন স্বাধীনতার নতুন দিগন্ত খুলে দেবে।

শেয়ার করুন:

আরও খবর

Sponsered content