১২ জানুয়ারি ২০২৫ , ১০:১৬:০৮ প্রিন্ট সংস্করণ
বিএমডিসি থেকে চিকিৎসা সেবায় বঞ্চিত ডিপ্লোমা ডেন্টাল ডিগ্রিধারীরা।
নিজস্ব প্রতিবেদক// একটি রাষ্ট্রের জনবল সংখ্যার অনুপাত ও আর্থ-সামাজিক কাঠামোর উপর ভিত্তি করে এর সেবা প্রদানকারী বিভিন্ন পর্যায়ের জনবল উৎপাদন করা হয় এবং তাদের সংশ্লিষ্ট বিভাগে কাজের সুযোগ দেয়া হয়। বাংলাদেশ তৃতীয় বিশ্বের একটি উন্নয়নশীল দেশ যেখানে কর্মমুখী শিক্ষার প্রতি রাষ্ট্রীয় গুরুত্বের কথা বারংবারই উঠে আসে। বাংলাদেশে ডিপ্লোমা পর্যায়ে শিক্ষা এমন একটি অবস্থায় যার মাধ্যমে বিভিন্ন বিভাগে এ ডিপ্লোমাধারী জনবল সেবাকে প্রান্তিক পর্যায় পৌঁছে দিতে পারে। নার্সিং, মেডিকেল, ডেন্টাল, কৃষি, মিডওয়াইফ, ফিরারিজ মেরিন, সার্ভেয়িং, আসিইউসহ নানা বিষয়ে এসব ডিপ্লোমা স্বাস্থ্য ও শিক্ষা বিভাগের অধীনে পরিচালিত।
সাধারণ মানুষের চিকিৎসা গ্রহনের সক্ষমতার কথা চিন্তা করে এবং চিকিৎসা সেবাকে তৃণমূল মানুষের কাছে পৌঁছে দেয়ার তাগিদে এ মেডিকেল ও ডেন্টাল ডিপ্লোমাধারীগণ নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। একইভাবে অনুমোদনপ্রাপ্ত এবং একই প্রতিষ্ঠানের সনদধারী হয়েও কেবলমাত্র স্বীকৃতি এবং কাজের ক্ষেত্রে দুটো ডিগ্রিকে দুইভাবে উপস্থাপন করা হচ্ছে। বর্হিবিশ্বে বিশেষত উন্নত দেশের স্বাস্থ্য জনবলের মধ্যে ডেন্টাল পেশায় সংশ্লিষ্ট জনবলের মধ্যে ডেন্টাল সার্জনগণ বা ডেন্টিস্টদের পাশাপাশি সহযোগী প্রফেশনাল হিসেবে (ডেন্টাল এনসিলারীস) যারা রয়েছেন তাদের সুনির্দিষ্ট কর্মের আওতা নির্ধারণ করা হয়ে থাকে। যার কিছু কাজ তারা একজন ডেন্টিস্টের সুপারভিশনে এবং নির্দিষ্ট কাজ স্বতন্ত্রভাবে করতে অনুমোদন দেয়া হয়। যেমনঃ ডেন্টাল হাইজিনিস্ট, থেরাপিস্ট)
বাংলাদেশে প্রচলিত ডিপ্লোমা ডেন্টাল কোর্সটি এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে যেখানে এ ডিপ্লোমাধারী জনবল একদিকে মানুষের প্রাথমিক দন্ত চিকিৎসা সেবা প্রদানে সক্ষম অপরদিকে ঊর্ধ্বতন অফিসার হিসেবে একজন সার্জনকে টেকনিক্যাল সহায়তা করতেও সক্ষমতা রয়েছে। শুধু তা-ই নয় ডেন্টাল ল্যাবের কাজ যেমন- রোগী পড়ে যাওয়া দাঁত প্রতিস্থাপন করা ছোটখাটো কাজেও দক্ষতা রয়েছে। অর্থাৎ কোর্সটিকে একজন মানুষের সাধারণ দন্ত সমস্যা সংক্রান্ত বিষয়গুলোকে প্রাথমিকভাবে সেবা দেয়ার জন্য উপযুক্ত হিসেবে তৈরি করা হয়েছে।
মেডিকেল এসিস্ট্যান্ট ডিপ্লোমাধারীদের প্রাকটিশনার হিসেবে সীমিত আকারে নিবন্ধন প্রদান করে তাদের পদবীকে উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার হিসেবে গণ্য করা হলেও ডিপ্লোমাধারী ডেন্টাল প্র্যাকটিশনারদেরকে একটি অসামন্জস্য নামে অভিহিত করা হয় যা কোনভাবেই এর কার্যক্রমের সাথে সংশ্লিষ্ট কিংবা প্রাসঙ্গিক নয়। দীর্ঘদিন ধরে আবেদন নিবেদন করেও এ সহজ সত্যটিকে কোন এক অজানা কারনে কর্ণপাত করা হয়নি এবং এ যৌক্তিক ও নায্য দাবিটিকে বাস্তবায়ন করা হয়নি। সংগত কারনেই প্রাথমিক দন্ত চিকিৎসা সেবা সংশ্লিষ্ট এ জনবলকে “ডিপ্লোমা ডেন্টিস্ট” বা “ডিপ্লোমা ডেন্টাল প্র্যাকটিশনার” হিসেবে তাদের নামকরণের স্বীকৃতি দেয়ার বিষয়টি যৌক্তিক ও ন্যায়সংগত দাবী যা দীর্ঘদিন আগে থেকেই বারংবার তোলা হয়েছে।
ডিপ্লোমা ডেন্টাল কোর্সটিতে পঠিত বিষয়গুলোর বেশিরভাগই প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান সংক্রান্ত। এতে মৌলিক কিছু কাজ রোগীর মিসিং দাঁত প্রতিস্থাপন সংক্রান্ত যে কাজগুলো ডেন্টাল ল্যাবে করা হয়। প্রায় পুরোপুরিভাবে এ প্র্যাকটিস সংক্রান্ত কারিকুলামকে ল্যাবে কাজ করার জন্য বলা বা বলার চেষ্টা করা মূল বিষয়কে পাশ কাটানোর চেষ্টা ব্যতীত কিছু নয়।
আর যদি এই কোর্স কারিকুলামকে ল্যাবে কাজের উপযুক্ত বলা হয়ে থাকে তাহলে ক্লিনিক্যাল বিষয়সমূহ পড়ানোর প্রয়োজনীয়তা কি? অথবা, উপরোক্ত বিষয় সমূহ পড়ে ল্যাবে প্রয়োগের ক্ষেত্র কোথায়? তাহলে তাদেরকে কেন এই বিষয় গুলো পড়ানো হয়েছে?
কোর্স কারিকুলামের ওভারভিউতে কোর্সে পাশকৃত ডিপ্লোমাধারীগন কি কি কাজে নিজে করতে পারবে এবং কোনগুলোতে ডেন্টাল সার্জনের সুপারভিশন প্রয়োজন হবে। নিজ নিজ কাজের আওতায় সুস্পষ্টভাবেই কাজের ক্ষেত্র নির্ধারণ করা হয়েছে।
কোর্স অনুমোদনকারী সংস্থা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, সনদ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান “রাষ্ট্রীয় চিকিৎসা অনুষদ”
কোর্স পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান “স্বাস্থ্য শিক্ষা”র এবং শিক্ষাদানকারী শিক্ষকবৃন্দ এমবিবিএস ও বিডিএস চিকিৎসক, পঠিত কারিকুলাম ক্লিনিক্যাল, প্রশিক্ষণ হাসপাতালের ডেন্টাল বিভাগে।
বাংলাদেশে সরকারি পর্যায়ে বর্তমানে ২ টি স্বতন্ত্র ডেন্টাল কলেজ, এবং ৮ টি মেডিকেল কলেজে ডেন্টাল ইউনিট রয়েছে। সেখানে আবার ওরাল সার্জারী, অর্থোডন্টিক্স, ওরাল এন্ড ম্যাক্সিলোফেসিয়াল সার্জারী, কনজারভেটিভ ডেন্ট্রিষ্টি, চিলড্রেন ডেন্টিষ্ট্রি সহ বিভিন্ন বিভাগ থাকলেও ডেন্টাল ল্যাব বলে কোন বিভাগ নেই কিংবা দেশের কোথাও কোন সরকারী হাসপাতালে ডেন্টাল ল্যাবের ও অস্তিত্ব নেই। তাহলে, মেডিকেল টেকনোলজিষ্ট (ডেন্টাল) হয়ে তাদের কর্মক্ষেত্র কোথায়?
মেডিকেল টেকনোলজিষ্ট (ডেন্টাল) দের কোর্স কারিকুলাম অনুযায়ী ১৮ সপ্তাহের মাঠ প্রশিক্ষন সম্পন্ন করতে হবে। এই ১৮ সপ্তাহের মাঠ প্রশিক্ষণ ১৯৬৩ সাল থেকে এই পর্যন্ত তারা দেশের হাসপাতালের কোন ল্যাবে করে আসছে? বরং ১৯৬৩ সাল থেকে আজ অবধি দেশের বিশেষায়িত হাসপাতাল, মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, জেলা সদর হাসপাতালের ডেন্টাল ইউনিট হতে এই মাঠ প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে আসছে।
সরকারী পর্যায়ে বিশেষায়িত হাসপাতাল থেকে শুরু করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পর্যন্ত কর্মরত মেডিকেল টেকনোলজিষ্ট (ডেন্টাল) রা কি কোন ল্যাবে কাজ করে নায়। প্রান্তিক অঞ্চলে যেখানে সচরাচর ডেন্টাল সার্জন নেই সে সকল হাসপাতালে দন্ত সেবা নিশ্চিত করছে মেডিকেল টেকনোলজিষ্ট (ডেন্টাল)গণ।
মেডিকেল টেকনোলজিষ্ট (ডেন্টাল)দের কোর্স কারিকুলাম, পঠিতব্য বিষয় এবং মাঠ প্রশিক্ষণে লব্ধিত জ্ঞানের আলোকে ২০০৯ সালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের গঠিত কমিটির আলোকে মেডিকেল টেকনোলজিষ্ট (ডেন্টাল) দের ১০ টি কাজের আওতা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়। প্রশ্ন হলো, উল্লেখিত এই ১০ টা কাজ কি ল্যাব সংশ্লিষ্ট? এই কাজের পরিধি কি শুধু ল্যাব পর্যন্ত সীমাবদ্ধ নাকি প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর প্রাথমিক দন্তসেবা নিশ্চিতকরণের জন্য?
আইন সংসদ ও বিচার বিষয়ক মন্ত্রণালয় তাদের সিদ্ধান্তে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছেন তাদের আইনগত বাঁধা নেই।
মহামান্য উচ্চ আদালতও তাদের রায়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও মন্ত্রণালয়ের একাধিক আলোচনা পর্যালোচনার মাধ্যমে গৃহীত সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে করা দশটি কাজের আওতা নির্ধারণের মাধ্যমে প্রাথমিক দন্ত চিকিৎসা সেবা প্রদানের বিষয়টিকে বহাল রাখলেন।
তথ্য সূত্রে জানা যায়, ডিপ্লোমা ডেন্টাল কোর্সটি ১৯৬৩ সালে প্যারামেডিক্যাল ইনস্টিটিউটে চালু করা হয়েছিল পরে ১৯৮৭ সালে প্যারামেডিক্যাল ইনস্টিটিউটটি-টিকে ইনস্টিটিউট অফ হেলথ টেকনোলজি, ঢাকায় রূপান্তরিত হয় এবং ডিপ্লোমা কোর্সটি ৩ বছরে উন্নীত করা হয় এবং এর পাঠ্যক্রম আপডেট করা হয়। ১৯৮০ পর্যন্ত বিএমডিসি থেকে অনুশীলন নিবন্ধনের জন্য কোন লিখিত দাবি বা আবেদন করা হয়নি। ১৯৭৩ সালে মেডিকেল কাউন্সিল গঠিত হয় পরে ১৯৮০ সালে তা সংস্কার করে মেডিক্যাল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল নামকরণ করা হয় এবং সে ১৯৮০ সালের আইনের ১৫ ধারায় বাংলাদেশে বা বাইরে করা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক প্রদত্ত ডেন্টাল যোগ্যতাকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। ধারা ১এ এর উপধারা-৩ কোন শিক্ষাগত যোগ্যতা নেই এমন ব্যক্তিকে স্বীকৃত এবং নিবন্ধিত করেছে। ১৯৮০ সালের বিএমডিসি অ্যাক্ট এর ১৫ ধারার পরিপ্রেক্ষিতে, ডিপ্লোমা ডেন্টাল ডিগ্রিধারীরা প্রথমবারের মতো সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে নিবন্ধনের দাবি করেছেন। ১৯/০৫/১৯৮৩ তারিখে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় “ডিপ্লোমা ইন ডেন্টিস্ট্রি” ডিগ্রিধারী ডিপ্লোমা ডেন্টাল ডিগ্রিধারীদের নিবন্ধন প্রদানের বিষয়ে BMDC থেকে প্রাইভেট প্র্যাকটিস রেজিস্ট্রেশন দেওয়ার জন্য চিঠি জারি করেন। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা পাওয়ার পর BMDC-এর কার্যনির্বাহী সংস্থা ১লা জুন ১৯৮৩ এবং ১৫ মে ১৯৮৩-এর রেজুলেশনের আলোকে মাথাপিছু ১০০/- ফি নির্ধারণ করে নিবন্ধন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। ডিপ্লোমা ডেন্টাল ডিগ্রিধারীদের প্র্যাকটিস রেজিষ্ট্রেশন বা নিবন্ধন প্রদানের বিষয়ে BMDC-এর সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরও কর্তৃপক্ষ তাদের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করেনি। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় ৩০.০৬.১৯৯৩ তারিখে ডিপ্লোমা ডেন্টাল ডিগ্রিধারীকে BMDC থেকে প্রাইভেট প্র্যাকটিস রেজিস্ট্রেশন দেওয়ার জন্য বিএমডিসিকে চিঠি জারি করে। যদিও বিএমডিসি কর্তৃপক্ষ অবশেষে ডিপ্লোমা ডেন্টাল ডিগ্রিধারীদের বঞ্চিত করলো কিন্তু সরকার ১৯৮৫ বিএমডিসি আইনের ধারা ১৬ অনুযায়ী নিজস্ব ক্ষমতায়নের বলে গেজেট প্রকাশের মাধ্যমে মেডিকেল এসিস্ট্যান্টদের প্র্যাকটিস রেজিস্ট্রেশনের আওতায় আনলো। যে মেডিকেল এসিস্ট্যান্ট কোর্সের সকল যোগ্যতা ডিপ্লোমা ডেন্টাল এর সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ এবং সনদ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান একই অর্থাৎ বাংলাদেশ রাষ্ট্রীয় চিকিৎসা অনুষদ। ২৩/০২/১৯৯৫ এ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে একটি চিঠির মাধ্যমে ডিপ্লোমা ডেন্টাল ডিগ্রিধারীদেরকে প্রাইভেট অনুশীলনের জন্য নিবন্ধন দেওয়ার জন্য পুনরায় তাগিদ দেন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কর্তৃপক্ষ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের জবাব না দেয়ায় ২৩/০৪/১৯৯৫ তারিখে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় পুনরায় ডিপ্লোমা ডেন্টাল ডিগ্রিধারীকে অনুশীলন নিবন্ধন দেওয়ার বিষয়ে আরেকটি চিঠি জারি করে। ২৮/০৫/১৯৯৫ তারিখে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কর্তৃপক্ষকে অনুশীলন নিবন্ধন প্রদানের বিষয়ে আবারও চিঠি দেন।
জন্য আরেকটি চিঠি জারি করেছে। ২২/০৪/২০০৮ তারিখে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় BMDC থেকে নিবন্ধন প্রদানের বিষয়ে DGHS-কে আবার একটি চিঠি জারি করে। এরপর স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডিপ্লোমা ডেন্টাল ডিগ্রিধারীদের বিএমডিসি কর্তৃক নিবন্ধন প্রদানের বিষয়ে বাস্তব পরিস্থিতি সম্পর্কে উল্লেখ করে একটি বিশদ মতামত দেন। ২৬/০৪/২০০৯ তারিখে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় তাদের মতামত দিয়েছে যে ডিপ্লোমা ডেন্টাল ডিগ্রিধারীদের নিবন্ধন দেওয়ার বিষয়ে কোনও আইনি বাঁধা নেই। ০৯/০৯/২০০৯ তারিখে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় মেডিকেল টেকনোলজিস্ট (ডেন্টাল) এর জন্য ওয়ার্কিং সার্কেল চূড়ান্ত করার বিষয়ে তাদের মতামত দেওয়ার জন্য DGHS-কে একটি চিঠি পাঠায়। ৩০/০৯/২০০৯ তারিখে DGHS রেজিস্ট্রেশন মেডিকেল টেকনোলজিস্ট (ডেন্টাল) এর জন্য ওয়ার্কিং সার্কেল চূড়ান্ত করেছে। ০৬/০১/২০১৫ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের গঠিত কমিটি পুনরায় সমশিক্ষাগত যোগ্যতার আলোকে মেডিকেল এসিস্ট্যান্টদের ন্যায় ডিপ্লোমা ডেন্টাল ডিগ্রিধারীদের রেজিষ্ট্রেশন প্রদানের জন্য সুপারিশ করে। যদিও মেডিকেল টেকনোজিস্ট ডেন্টালের প্র্যাকটিস।করার জন্য নিবন্ধন দেওয়ার বিষয়ে সমস্ত আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করা হয়েছে কিন্তু আমলাতান্ত্রিক জটিলতার অযুহাত তুলে তা বাস্তবায়ন করা হয়নি এবং শেষ পর্যন্ত এটি মাননীয় উচ্চ আদালত পর্যন্ত গড়ায়।
মহামান্য উচ্চ আদালত এ দীর্ঘ সংগ্রামের পরিপ্রেক্ষিতে সমস্ত যৌক্তিক বিবেচনায় স্বাস্থ্য বিভাগের সুপারিশ ও আইন মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তকে আমলে নিয়েই রেজিষ্ট্রেশন প্রদানের রায় দেন।
সর্বশেষ সলিসিটর অফিস মহামান্য উচ্চ আদালতের রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে আপিল করলে রাষ্ট্রের সময় ও অর্থ অপচয় হবে মর্মে মতামত প্রদান করে আপিল করা থেকে বিরত থাকতে বলে। তারপরও অতিউৎসাহী বিএমডিসি ডেন্টাল সোসাইটির প্ররোচনায় আপিল করেন। তা নিয়ে বিপাকে অসহায়ত্বের মুখে পরে আছেন ডিপ্লোমা ডেন্টাল ডিগ্রিধারীরা। এ বিষয় ডিপ্লোমা ডেন্টাল ডিগ্রিধারীরা অতিদ্রুত এমএমডিসি থেকে রেজিষ্ট্রেশন নম্বর প্রদানের মাধ্যমে তাদের নিরলসভাবে চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিত করার দাবি জানান তারা।