১১ জানুয়ারি ২০২৫ , ১:০২:০৬ প্রিন্ট সংস্করণ
মধুপুর উপজেলায় সরিষার বাম্পার ফলন।
মোঃহাফিজুর রহমান (মধুপুর উপজেলা প্রতিনিধি)
মধুপুর ফসলের ক্ষেতগুলোয় যতদূর চোখ যায় শুধু হলুদের সমারোহ। কি চরাঞ্চল, কি বরেন্দ্র অঞ্চল আর কি বিলাঞ্চল সবখানেই বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে চাষ হয়েছে সরিষার। এমন কি নদীর বুকে জেগে ওঠা চরেও সরিষার আবাদ হয়েছে।
কৃষি বিভাগ বলছে, আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এ বছর মধুপুর উপজেলায় সরিষার বাম্পার ফলন হবে।মধুপুরের কৃষকরাও আশা করছেন, সামান্য পরিচর্যা করেই বেশি লাভের ফসল সরিষি।
মধুপুর উপজেলার বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে কৃষকরা সরিষার চাষাবাদ করেছেন। প্রতিটি মাঠ সরিষার হলুদ ফুলে সেজেছে। তবে আগাম আবাদ করা সরিষা এরই মধ্যে কাটা-মাড়াই শুরু হয়েছে। আবার অনেকেই আমন ধান কাটা শেষে জমিগুলো পতিত না রেখে অতিরিক্ত ফসল হিসেবে সরিষা চাষ করেছেন। অন্যদিকে মৌমাছিরা সরিষার ফুল থেকে মধু সংগ্রহে ব্যস্ত সময় পার করছেন।
মধুপুর মহিষমারা গ্রামের মোঃতোফাজ্জল হোসেন (কাজল মাস্টার) বলেন , দুই বিঘা জমিতে এ বছর সরিষার চাষ করেছি। তাতে খরচ হয়েছে প্রায় ১৬ হাজার টাকা। খরচ বাদ দিয়ে প্রায় ৬ হাজার থেকে ৮ হাজার টাকা লাভ থাকতে পারে। এ বছর সরিষার ফুল ভালো এসেছে। আবহাওয়া ঠিক থাকলে ভালো ফলন হবে।
কৃষক কাদের জানান, বেশ কয়েক বিঘা সরিষা চাষ করেছি। গত বছরের তুলনায় এ বছর খরচ একটু বেড়েছে। সরিষার বীজের দাম, শ্রমিকের মজুরি, হাল, সেচ-সহ অন্যান্য খরচ বেশি হলেও অতিরিক্ত ফসল হিসেবে চাষ করে থাকি সরিষা। যাতে আমরা ধানের পাশাপাশি তেলের চাহিদা পূরণ করতে পারি। যার বাজারমূল্য ২০-২২ হাজার টাকা। খরচ বাদ দিয়ে কিছুটা লাভ থাকে। আবার সময়ে অন্য ফসলও চাষ করা যায়।
মধুপুর উপজেলার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে জানান, আমন ধান কাটতে দেরি হওয়ায় এ বছর কিছুটা দেরিতে সরিষার আবাদ শুরু হয়। তবে এ বছর সরিষার আবাদ রেকর্ড পরিমাণ হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে বাম্পার ফলন পাওয়া যাবে। কৃষকদের সব ধরনের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। পরামর্শক্রমে একাধিক কৃষক এবার সরিষা চাষে আগ্রহী হয়েছে।