১ জানুয়ারি ২০২৫ , ৯:৩৪:৩৮ প্রিন্ট সংস্করণ
শহীদের নবজাতক শিশুকে দেখতে গেলেন ইউএনও।
মোঃ আমজাদ হোসেন
দেবিদ্বার (কুমিল্লা)।
বিস্তারিত রিপোর্টঃ
দেবিদ্বারে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদ আব্দুর রাজ্জাক রুবেলের নবজাতক শিশুপুত্রকে দেখতে মিষ্টি নিয়ে গেলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নিগার সুলতানা । গতকাল দুপুর ২টায় দেবিদ্বার পৌর এলাকার বারেরা গ্রামে শহীদ রুবেলের চার মাসের পুত্রসন্তান মোঃ আব্দুল্লাহ আল রায়ানকে দেখতে যান ইউএনও নিগার সুলতানা। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন দেবিদ্বার ইসলামিয়া ফাজিল মাদরাসার (ডিগ্রি) অধ্যক্ষ মোঃ আলাউদ্দিন সরকার, রুবেলের চাচা মোঃ আবু তাহের, রুবেলের মা হোসনেয়ারা বেগম, স্ত্রী হ্যাপি আক্তার ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গরা ।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গত ৪ আগস্ট ছাত্রলীগের গুলিতে দেবিদ্বার মাটিয়া মসজিদের পাশে (পিঠে গুলিবিদ্ধ হয়ে) রুবেল শহীদ হন। রুবেল দেবিদ্বার পৌর এলাকার বারেরা গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে। তিনি কোম্পানীগঞ্জ- চট্টগ্রাম প্রান্তিক বাস সার্ভিসের চালক এবং পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সভাপতি ছিলেন।
আব্দুর রাজ্জাক রুবেলের মৃত্যুর সময় এক ছেলে ও এক মেয়ে ছিল তাঁর। তখন তাঁর স্ত্রী ছিলেন আট মাসের গর্ভবতী। রুবেলের মৃত্যুর এক মাস ছয় দিন পর অর্থাৎ গত ৯ সেপ্টেম্বর আরো একটি পুত্রসন্তান আসে তাঁর ঘরে। নবজাতকের বয়স তিন মাস ২৩ দিন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিগার সুলতানা শিশুপুত্রকে কোলে নিয়ে বলেন, ‘এই শিশু তার বাবার স্নেহ-আদর- ভালোবাসা এমনকি বাবা ডাক থেকেও বঞ্চিত হলো। রুবেলের স্ত্রী হলেন বিধবা। এই হৃদয় বিদারক ঘটনার সান্ত্বনা দেওয়ার ভাষা আমার নেই।’
এ সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিগার সুলতানা ব্যক্তিগতভাবে শিশুটির জামাকাপড় ও ১০ হাজার টাকা হাতে তুলে দেন।