অপরাধ

গাইবান্ধায় পেপার মিলের বর্জ্যের ক্ষতি থেকে রক্ষা পেতে স্মারকলিপি প্রদান

গাইবান্ধায় পেপার মিলের বর্জ্যের ক্ষতি থেকে রক্ষা পেতে স্মারকলিপি প্রদান

আনোয়ার হোসেন, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টারঃ গাইবান্ধার রাজা গ্রুপের রাজা পেপার এন্ড বোর্ড মিলের কারখানার বিষাক্ত বর্জ্য থেকে রক্ষা পেতে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট স্মারকলিপি প্রদান করেছে ভুক্তভোগী জনগণ। স্মারকলিপিতে দ্রুত প্রতিকারের দাবী জানানো হয়েছে।

২৯ ডিসেম্বর রোববার দুপুরে এ স্মারকলিপি প্রদান
করা হয়। এ সময় ভুক্তভোগীদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, ইউপি সদস্য নারীনেত্রী হ্যাপী বেগম, সাবেক ইউপি সদস্য শফিকুল ইসলাম, প্রধান শিক্ষিকা নূরে দিবা শান্তি, কৃষক জাহিদুল ইসলাম, কৃষক শাহীন মিয়া, কৃষক আমজাদ হোসেন, রাজ মিয়াসহ অনেকে।

গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার কামারদহ ইউনিয়নের চাপড়ীগঞ্জে অবস্থিত রাজা গ্রুপের রাজা পেপার এন্ড বোর্ড মিলের এই কারখানা।

ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, রংপুর-ঢাকা মহাসড়ক ঘেঁষে গোবিন্দগঞ্জের চাঁপড়ীগঞ্জে ফসলি জমিতে গড়ে উঠেছে রাজা পেপার মিল। গত ৫ বছর আগে প্রতিষ্ঠিত পেপার মিলটি উৎপাদন চালিয়ে আসছে। কারখানার বর্জ্য পরিশোধন না করেই সরাসরি ফেলা হচ্ছে ইছামতিগজারী নদীতে। বর্জ্য মিশ্রিত পানি অন্তত ১৫ কিলোমিটার দুরে গিয়ে মিশেছে করতোয়া নদীতে। খালের পানি বিষাক্ত বর্জ্যে কালচে হয়েছে। প্রতিনিয়ত বজ্র ফেলায় দিন দিন ভরাট হচ্ছে নদীটি। কোথাও বর্জ্যের স্তুপ হয়েছে। আবার কিছু স্থানে ময়লা-অবর্জনায় পোকামাকড় দেখা দিয়েছে। খাল থেকে তীব্র পচা দূর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ায় জনজীবনে নেমে এসেছে চরম দুর্ভোগ। দুষিত বর্জে এলাকায় দেখা দিয়েছে পরিবেশ বিপর্যয়। বিরুপ প্রভাব পড়েছে জীববৈচিত্যে ক্ষতি হচ্ছে কৃষিতেও। স্বাস্থ্য ঝুঁকিতেও পড়েছেন এলাকার মানুষ। পেপার মিলটির গা-ঘেঁষেই চাঁপড়ীগঞ্জ বাজার, চাপরীগঞ্জ এসএম ফাজিল মাদ্রাসা, চাপরীগঞ্জ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ আছে চারটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। খালের দুষিত বর্জ্যে ছড়ানো দুর্গন্ধে বাজারসহ স্কুলে আসা-যাওয়া করতে প্রতিনিয়ত দুর্ভোগ পোহাতে হয় শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষকে।

স্থানীয়রা বলেন, ‘বিষাক্ত পানির কারণে খালে আর দেশিয় প্রজাতির মাছ দেখা যাচ্ছেনা। দূষিত পানিতে প্রায়ই ব্যাঙ, সাপসহ জলজপ্রাণি মরে গিয়ে ভেসে উঠছে। ভুলবসত খালের পানি ব্যবহার করে অনেকেই চর্মসহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন।

শেয়ার করুন:

আরও খবর

Sponsered content