ভাঙ্গায় ছাত্রীকে বিয়ে করাকে কেন্দ্র করে দুই দলের মাঝে সংঘর্ষে আহত- ১০

ভাঙ্গায় ছাত্রীকে বিয়ে করাকে কেন্দ্র করে দুই দলের মাঝে সংঘর্ষে আহত- ১০
মোসলেউদ্দিন(ইমরান), ভাঙ্গা (ফরিদপুর) প্রতিনিধিঃ

ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলায় এক মহিলা মাদ্রাসার শিক্ষক তার ছাত্রীকে বিয়ে করাকে কেন্দ্র করে দুই দল গ্রামবাসীর মাঝে সংঘর্ষে নারী-পুরুষ সহ কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছে।
এমন সংঘর্ষের ঘটনাটি ঘটে বুধবার(২৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯ টার দিকে ভাঙ্গা উপজেলার হামিরদী ইউনিয়নের মুনসুরাবাদ গ্রামে।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, মনসুরাবাদ গ্রামের আকরাম মেম্বার গ্রুপের জাহিদ হুজুর, তিনি গ্রামে একটি মহিলা মাদ্রাসা করেছেন। সেই মাদ্রাসার এক শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন প্রকার প্রলোভন দেখিয়ে বিয়ে করেন। সেই শিক্ষার্থী ওই গ্রামের প্রতিপক্ষ বাবর আলী মেম্বার গ্রুপের ইলিয়াস মাতুব্বরের মেয়ে। জাহিদ হুজুরের এই বিয়েটি তার তৃতীয় বিয়ে।
গতকাল মঙ্গলবার ছিল ওই মহিলা মাদ্রাসার ওয়াজ মাহফিল। সেই মাহফিলে ওই শিক্ষার্থীর বাবা ইলিয়াস মাতুব্বর তার জামাই জাহিদ হুজুরের বিরুদ্ধে মুনসুরাবাদ বাজারে শিক্ষার্থীকে কিভাবে বিয়ে করে এ বিষয় নিয়ে গালমন্দ করেন।
এ নিয়ে গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে জামাই শশুরের লোকদের মাঝে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।

সেই জের ধরে আকরাম মেম্বার ও বাবর আলী মেম্বার এর গ্রুপের মাঝে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। উভয় দলের মাঝে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া চলে। খবর পেয়ে ভাঙ্গা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।

এ সময় উভয় দলের কমপক্ষে দশ জন আহত হয়েছেন। গুরুতর আহত রিয়াজ মাতুব্বর, ইখলাছ মাতুব্বর, চাম্পা বেগম, ও কাউসার মাতুব্বরক এরা ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন, অন্য আহত সাইদুর মোল্লা, সাইদুর দফাদার, পান্নু ফকির, মাহাবুর মোল্লা, সাজ্জাদ শেখকে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
এ ঘটনায় আকরাম মেম্বার বলেন, জাহিদ হুজুরের ওয়াজ মাহফিলের সময় ভেজাল করতে চেয়েছিল এজন্যই দুই পক্ষের মারামারি হয়েছে।
এদিকে আরেকপক্ষের দলনেতা বাবর আলী মেম্বার বলেন, জাহিদ হুজুর এভাবেই প্রলোভন দেখিয়ে তিনটি বিয়ে করেছেন, সেই বিষয়টি নিয়ে মেয়ের বাবা ইলিয়াস মাতুব্বর জাহিদের গার্জিয়ানের কাছে নালিশ দিলে তারা উল্টো তাকে আরো ছয়টি বিয়ে করাবেন বলে উল্টা গালমন্দ করেন। এ নিয়েই তারা মেয়ের বাপ চাচাকে মারধর করে।

এদিকে এ বিষয়ে ভাংগা থানার অফিসার ইনচার্জ মোকছেদুর রহমান জানান, সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে। ঘটনাস্থল থেকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য দুই জনকে আটক করা হয়েছে। কোনো পক্ষ এখনো থানায় অভিযোগ দেয়নি। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।