২৫ ডিসেম্বর ২০২৪ , ৯:৫৭:৫৪ প্রিন্ট সংস্করণ
দেবিদ্বারে অনুমোদনহীন ও মেয়াদোত্তীর্ণ ঔষধ রাখায় তিন ফার্মেসীকে জরিমানা
মোঃ আমজাদ হোসেন
দেবিদ্বার কুমিল্লা।
কুমিল্লার দেবিদ্বারে মেয়াদোত্তীর্ণ ও অননুমোদিত ঔষুধ রাখায় তিন ফার্মেসী মালিককে জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমান আদালত। মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) বিকালে নিউমার্কেট এলাকার সরকারি হাসপাতালের সামনে তিন ফার্মেসী মালিককে মোট ৮৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ রায়হানুল ইসলাম ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন। এসময় কুমিল্লার ওষুধ প্রশাসনের সহকারি পরিচালক সালমা সিদ্দিকা, দেবিদ্বার থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. বাকের হোসেন, উপজেলা স্যানেটারী ইন্সপেক্টর কামরুন্নাহারসহ স্থানীয় ব্যবসায়ী ও গণমাধ্যম কর্মীরা উপস্থিত
ছিলেন। ভ্রাম্যমান আদালন সূত্রে জানা গেছে, সরকারি হাসপাতালের সামনে শালঘর ফার্মেসীতে অনুমোদনহীন ঔষুধ রাখায় ফার্মেসীর মালিক আতিকুর রহমানকে ৫০ হাজার টাকা, গোমতী ফার্মেসীতে মেয়াদোত্তীর্ণ ঔষুধ রাখায় মালিক মো. রফিকুল ইসলামকে ৩০ হাজার টাকা ও সেবা ফার্মেসীতে ওষুধ ফ্রিজিং না রাখায়নমালিক কাজী আব্দুল মবিনকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
স্থানীয়রা জানান, দেবিদ্বারে অবাধে গড়ে উঠেছে অনুমোদনহীন ঔষুধের ফার্মেসি। এসব ফার্মেসিগুলোতে মেয়াদ উত্তীর্ণ, নকল এবং অবৈধভাবে আসা বিভিন্ন দেশের ঔষুধ বিক্রয় হয়। অনেক চিকিৎসক কোম্পানীর কমিশনের লোভে প্রেসক্রিপসনে অতিরিক্ত ও অপ্রয়োজনীয় ঔষুধ লেখেন। আমরা না বুঝেই এসব ঔষুধ কিনে খাই।
গ্রীণ ফার্মেসীর মালিক মোঃ খালেক বাবুল ও সেরা ফার্মেসীর মালিক কাজী আব্দুল মবিন জানান, চিকিৎসকরা এমন কিছু ওষুধের নাম লেখেন যার অনুমোদন না থাকলেও ক্রেতার সুবিধার্থে আমরা রাখতে বাধ্য
হই। আমরা আসলে জানিনা তিনি চিকিৎসক হয়ে এমন ঔষুধ কেন লেখেন। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ রায়হানুল ইসলাম বলেন, দেবিদ্বারে মেয়াদোত্তীর্ণ ও অনুমোদিত ঔষুধ রাখায় তিন ফার্মেসী মালিককে জরিমানা করা হয়েছে। ফার্মেসী মালিকদের সর্তক করা হয়েছে। জন স্বার্থে এমন অভিযান নিয়মিত চলবে।