ঢাকাশনিবার , ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ
  3. অর্থনীতি
  4. আইন
  5. আন্তর্জাতিক
  6. ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ
  7. ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশ
  8. ঈদগাঁও
  9. কক্সবাজার
  10. কুড়িগ্রাম
  11. ক্যাম্পাস
  12. খেলাধুলা
  13. চাকরি
  14. জাতীয়
  15. ঝিনাইদহ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

আওয়ামী লীগের ডিলারগনের কারনে কুষ্টিয়ায় রাসায়নিক সারের তীব্র সংকট। দাম বৃদ্ধি

Developer Zone
ডিসেম্বর ১৪, ২০২৪ ১১:৫৬ অপরাহ্ণ
Link Copied!

আওয়ামী লীগের ডিলারগনের কারনে কুষ্টিয়ায় রাসায়নিক সারের তীব্র সংকট। দাম বৃদ্ধি।

স্টাফ রিপোর্টার

কুষ্টিয়া জেলা সহ পাশ্ববর্তী জেলা চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর ও ঝিনাইদহ জেলার সর্বত্র এই রবি মৌসুমে রাসায়নিক সারের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। এসব জেলার কৃষিক সূত্রে জানা যায়, তারা এই রবি মৌসুমে শীতকালীন শাক্ সবজি সহ অনান্য ফসল উৎপাদনের জন্য প্রয়োজনীয় রাসায়নিক সার পাচ্ছে না।যতটুকু পাচ্ছে তার দাম দ্বিগুণের বেশি।প্রতি কেজি ফসফেট এর স্বাভাবিক মূল্য ৩৮ টাকা হলেও সার ব্যাবসায়ীরা প্রতি কেজি ৬৫টাকা দরে বিক্রি করছে। ইউরিয়া ২৮টাকা কেজি হলেও তা বিক্রি করছে ৪৫ টাকায়।সার ব্যবসায়ীদের অভিযোগ সার তারা পাচ্ছে না, সরবরাহ কম।আবার কৃষকেরা বলছে, বেশি টাকায় কিনলে পাওয়া যাচ্ছে। কুষ্টিয়ার কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের সিনিয়র কৃষি কর্মকর্তা মো.সুজাত হোসেন খান মুঠোফোনে জানান,কৃষি বিপণন আইন ২০১৮এর৪(জ),(ত)১৭ ধারা,কৃষি বিপণন বিধিমালা ২০২১এর ৬(১) ও ১০(২)এবং কৃষি বিপণন নীতি ২০২৩ এর ৪.৪.১মোতাবেক কৃষি বিপণন উপকরনের দোকান/প্রতিষ্ঠান/কৃষি বিপণন লাইসেন্স পরিদর্শন এবং এই মূহুর্তে বিশেষ করে চাল ও ভোজ্যতেলের প্রতিষ্ঠান অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে তদারকি করা হচ্ছে। কয়েকটি উপজেলার দেখা যায়, ডিএমপি, টিএসসি, এমওপি সারের বেশ সংকট। একজন চাষী ১/২ বস্তা চাইলে ১০কেজি আবার ৩ বস্তা চাইলে ১বস্তা দেয়া হচ্ছে। সুজাত হোসেন আরো জানান,কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের সাথেও আলোচনা করা হয়েছে প্রয়োজন বিএডিসির মাধ্যমে সরবরাহ করা হবে।তিনি আরও জানান,সারের এই সংকট হচ্ছে বিএডিসি সরবরাহ কম করছে। অপরদিকে ডিলারগন বেশী মুনাফার জন্য কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে দাম বৃদ্ধি করছে।সেই সাথে কালোবাজারীরাও জড়িত রয়েছে। তিনি বলেন, মূল্য বৃদ্ধি বা অধিক মুনাফা গ্রহন বিষয়ে তদারকি অব্যাহত রয়েছে। গত মাসে অধিক মুনাফা গ্রহন করায় কৃষি বিপণন আইন অনুযায়ী জরিমানা ও করা হয়েছে। কয়েকটি গুদাম ঘুরে দেখা গেছে সেখানে পর্যাপ্ত সার মজুদ রয়েছে। অন্যদিকে কৃষকেরা বলছে, তারা পর্যাপ্ত সার না পাওয়ায় এই মৌসুমে ফসল উৎপাদন অনেকটাই কমে যাবে।প্রান্তিক চাষীরা আর্থিকভাবে চরম ক্ষতিগ্রস্থ হবে। উল্লেখ্য যে তথ্য অনুসন্ধানে জানা গেছে যে,কুষ্টিয়ার সারের ডিলারগন প্রায় সবাই আওয়ামী পুষ্ঠ। তারা গত ১৬/১৭ বছর ধরে ডিলারশীপ নিয়ে ব্যবসা করছে।এখন বর্তমান সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করতেই ডিলারগন সারের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে দাম বৃদ্ধি করে অধিক মুনাফা হস্তান্তর করছে।তাই কৃষকের ফসল উৎপাদন বাড়াতে এবং অর্থনৈতিক ক্ষতি থেকে রক্ষা করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন করা যাচ্ছে।

শেয়ার করুন: