জাতীয়

মিঠামইনে প্রধানমন্ত্রীর সফরকে কেন্দ্র করে উৎসবের আমেজ,নেতাকর্মীরা মঞ্চতৈরীতে ব্যস্ত।

ডেস্ক রিপোর্ট

১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ , ৬:৫৪:৩৭ প্রিন্ট সংস্করণ

 

বিজয় কর রতন, ষ্টাফ রিপোর্টার কিশোরগঞ্জঃ চলতি মাসের ১৫ থেকে ১৭ ই ফেব্রয়ারী পর্যন্ত মাননীয় মহামান্য রাষ্ট্রপতি মো: আবদুল হামিদ হাওরের তিন উপজেলায় সফর করে গেছেন। তিনি আগামী ২৮ ই ফেব্রয়ারী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেএী শেখ হাসিনা মিঠামইনে সেনানিবাস উদ্ভোধনসহ জনসভা করবেন বলে মত দিয়েছেন। এ উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি তিন উপজেলায় বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষদের সাথে পৃথক পৃথক মতবিনিময় সভা করেছেন। আজ থেকে ২৫ বছর পূর্বে ১৯৯৮ সনে সেপ্টেম্বর মাসে আওয়ামিলীগ সরকার প্রথম ক্ষমতায় আসার পর তৎকালীন জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পীকার ও এমপি এ্যাডভোকেট আবদুল হামিদের আমন্ত্রণে তিনি মিঠামইনে সফর করেন।বর্তমান মিঠামইন আর ১৯৯৮ সনের মিঠামইন এক নয় এর মাঝখানে যথেষ্ট উন্নয়ন হয়েছে এই তিন উপজেলায়। তৎকালীন সময়ের হেলিকপ্টার নামানোর কোনো ব্যবস্থা ছিল না।হাসপাতালের মাঠে বিকল্প হেলীপ্যাড তৈরী করে প্রধান মন্ত্রীর বহন কারী হেলিকপ্টার অবতরণ করে ছিলেন।তিনি তখনকার সময়ে রিক্সা যোগে পুরাতন কাঠবাজারের মাঠে জনসভার মঞ্চে এসে ছিলেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আগামী ২৮ই ফেব্রয়ারী মিঠামইন সেনানিবাসের ভিওিপ্রস্তুর স্থাপন করার কথা রয়েছে। সেখানে সেনানিবাসের কাজ উদ্বোধন করে, মিঠামইন কলেজ সংলগ্ন মাঠে হেলীপ্যাডে জনসভা করবেন বলে রাষ্ট্রপতি পুএ স্হানীয় সংসদ সদস্য রেজওয়ান আহমদ তৌফিক এ প্রতিনিধিকে জানান।

তিনি প্রধানমন্ত্রীর সফরকে ঘিরে হাওরের প্রতিটি উপজেলায় প্রস্তুতি সভা করে চলেছেন। প্রধানমন্ত্রীর সফরকে কেন্দ্র করে কিভাবে ব্যাপক উপস্থিতি করা যায় সে লক্ষ্যে তিন উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নেই ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানদের সহযোগিতায় নেতা-কর্মীরা প্রস্তুতি সভা করে যাচ্ছেন। প্রস্তুতি সভা শেষে উপজেলা সদর সহ বিভিন্ন ইউনিয়নে হাটবাজারে মিছিল ও পথসভা করে যাচ্ছেন অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা। মিঠামইনে প্রধানমন্ত্রীর সফরকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন ইউনিয়নে উৎসবের আমেজ সৃষ্টি হয়েছে। প্রার্শ্ববর্তী জেলা থেকে আতœীয় স্বজনরা ইতিমধ্যে প্রধানমন্ত্রীকে দেখার জন্য মিঠামইনে আসতে শুরু করেছে।উপজেলা মহিলালীগের নেএীরা জেলাপরিষদের সদস্যা নাছিমা আলম প্রতিটি গ্রামে মহিলাদের নিয়ে প্রস্তুতি সভা করেছেন। কোনো কোনো জায়গায় রাস্তা সহ বড় বড় বিল্ডিং এ নানান রঙের ব্যানার, ফেস্টুন সাজানো হয়েছে। আশেপাশে জেলা থেকেও প্রধানমন্ত্রীকে দেখার জন্য লোকজন আসবে। ২৫ বছরের মধ্যে হাওরে ২য় বার প্রধানমন্ত্রী আবারও আসছেন। তিনি হাওর বাসীর দাবি দাওয়া পূরণ করছেন।এছাড়াও এক গোচ্ছ দাবী নিয়ে হাওর বাসী প্রতিক্ষায় রয়েছেন।হাওরের মানুষের প্রাণের দাবী উড়াল সেতু সেটি হলে আমাদের আর অভাব থাকবে না। উৎপাদিত পণ্যের উপযুক্ত মূল্য পাব।আজ রবিবার ১৯শে ফেব্রয়ারী দুপুরে মাননীয় সাংসদ সদস্যের নেতৃত্বে দলীয় নেতা কর্মীও পুলিশ প্রশাসনের কর্মকর্তাগণ প্রধানমন্ত্রীর জনসভা স্হল পরিদর্শন করেন।ইতিমধ্যে সভাস্থলের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। অন্য দিকে উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক রাষ্ট্রপতি পরিবারের সদস্য এ্যাডভোকেট শরীফ কামাল আজ রবিবার যুবলীগের বর্ধিত সভা করেন।এবং নেতাকর্মীদের প্রতি ইউনিয়নে কাজ করার নির্দেশ দেন। মিঠামইন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হক সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হক নুরু জানান,ইতিমধ্যে আমরা প্রতি ইউনিয়নের নেতাকর্মীদের নিয়ে বর্ধিত সভা করেছি।আমরা আজ রবিবার হেলিপ্যাডে প্রধানমন্ত্রীর সভাস্থলের স্থান নির্ধারণ করে মঞ্চ তৈরীর প্রস্তুতি নিয়েছি।এসময় আওয়ামীলীগের নেতাকর্মী সহ স্থানীয় প্রশাসন উপস্থিত ছিলেন। স্হানীয় প্রশাসনের মধ্যে সহকারী পুলিশ সুপার সার্কেল সামুয়েল সংমা ও মিঠামইন থানার ওসি কলিন্দ্রনাথ গোলদার সহ অন্যান্য কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক সমীর কুমার বৈষ্ণব জানান,আমাদের টার্গেট ২ লক্ষ্যাধিক লোকের আমরা জনসভায় আসার লোকজনের জন্য বিভিন্ন পন্থা অবলম্বন করেছি। যাতে উপস্থিতি বেড়ে যায়। প্রতিদিন কোনো না কোনো ইউনিয়নে প্রস্তুতি সভা করে যাচ্ছি। স্হানীয় সংসদ সদস্য কিশোরগঞ্জ-৪ রেজওয়ান আহমেদ তৌফিক এ প্রতিনিধিকে জানান, তিন উপজেলায় এই প্রধানমন্ত্রীর সভাকে কেন্দ্র করে বর্ধিত সভা নিয়মিত করে যাচ্ছেন। যত প্রকার প্রচার প্রচারণ করতে হয় তা আমরা নেতাকর্মীদের দিয়ে চালিয়ে যাচ্ছি। তিনি আশা করছেন সমাবেশে ২ লক্ষ্যাধিক লোকের অধিক উপস্থিতি থাকবে হাওরবাসী প্রধানমন্ত্রীকে একনজর দেখে শুভেচ্ছা জানানোর অপেক্ষায় রয়েছে। আগাম ২৮ তারিখ সমাবেশকে সফল করার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানান।

শেয়ার করুন:

আরও খবর

Sponsered content