১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ , ৬:২৮:৪৩ প্রিন্ট সংস্করণ
স্টাফ রিপোর্টটর,ঈদগাঁও
ঈদগাঁও উপজেলার জালালাবাদের মোর্শেদ হত্যাকান্ডে মূল হোতা মোরশেদ আলম সহযোগীসহ র্যাবের হাতে আটক।
৮ ফেব্রুয়ারি সকালে অটোরিকশা চালক মোরশেদ আলম অন্যান্য দিনের মত তার নিজের অটোরিকশা নিয়ে বাড়ী থেকে বের হয়। ৯ ফেব্রুয়ারি ঈদগাঁও জালালাবাদ মিয়াজী পাড়ার সুপারি বাগান থেকে মোরশেদ আলমের রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করা হয়। কান্না ঝরজরিত কন্ঠে বর্ণনা দিচ্ছিলেন অটোরিকশা চালক মোর্শেদ আলমের পরিবার সেই ঘটনার। সাথে জড়িতদের কঠোর শাস্তি দাবি।
রোববার দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-১৫ এর সহকারী পরিচালক লে.কমান্ডার মাহবুবুর রহমান জানান, ৯ই ফেব্রুয়ারী ঈদগাঁওর জালালাবাদ মিয়াজী পাড়া এলাকার সুপারি বাগান থেকে অটোরিকশা চালক মোরশেদ আলম এর রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করা হয়। ক্লুলেস এই হত্যাকান্ডের খবর পেয়ে র্যাব ছায়া তদন্ত শুরু করে এবং অটোরিকশা চালক মোরশেদ আলম ক্লু-লেস হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন করে শনিবার সন্ধ্যায় কক্সবাজার শহরের উত্তর টেকপাড়া এলাকার বোরহান উদ্দিনের ভাড়া বাসা হতে ছিনতাইকৃত মোবাইলসহ হত্যাকান্ডের মূল আসামী মোরশেদ আলম আটক করা হয়।
আরও জানান, ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে মোরশেদ হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করে এবং ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত অন্যান্য সহযোগীদের নাম ঠিকানা প্রকাশ করে। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পিএমখালী পশ্চিম মুহসিনিয়া পাড়া থেকে ছগির আহমদ ছেলে মোঃ শাহ আলম আটক করে ছিনতাইকৃত অটোরিকশাটি উদ্ধার করা হয়।
র্যাব আরও জানায়, আটককৃত মোরশেদ একজন অটো-রিকশা ছিনতাইকারী চক্রের দলনেতা। বিভিন্ন সময়ে মোরশেদ ও তার সহযোগীদের মাধ্যমে কক্সবাজার শহর এবং আশপাশ এলাকার অটো-রিকশা ভাড়ার কথা বলে সুবিধাজনক স্থানে নিয়ে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে ছিনতাই করতঃ সর্বোস্ব লুটে নেয় এবং ছিনতাইকৃত অটোরিকশা অন্যত্র বিক্রি করে দেয়। সেদিন মোরশেদ তাঁর সহযোগীসহ নিহত মোরশেদ আলমের অটো-রিকশাটি ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে ভাড়া নেয়। পরবর্তীতে মোরশেদকে হত্যা করে অটো-রিকশা ও মোবাইল ফোন ছিনতাই করে পালিয়ে যায়।
আটককৃত আসামীদের পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে ঈদগাঁও থানায় হস্তান্তরের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন বলে জানান র্যাবের এই কর্মকর্তা।