৩১ অক্টোবর ২০২৪ , ৯:০০:৪৯ প্রিন্ট সংস্করণ
গাইবান্ধায় ‘জনতার বাজার’ থেকে পণ্য কিনে ক্রেতাদের মুখে হাসি
আনোয়ার হোসেন, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টারঃ গাইবান্ধা শহরের জিরো পয়েন্টে চালু হয়েছে ‘জনতার বাজার’। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন জেলা শাখার উদ্যোগে ন্যায্যমূল্যে সবজিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রির কার্যক্রম গত মঙ্গলবার থেকে শুরু হয়েছে।
‘জনতার বাজারে’ নিত্যপ্রয়োজনীয় আলু, পেঁয়াজ, ঢেঁড়স, লাউসহ ১০ প্রকার সবজি পাওয়া যাচ্ছে। যা বাজারের চেয়ে ১০ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত কমে বিক্রি হচ্ছে।
সেটি ঘিরেই মানুষের আগ্রহ। কম দামে সবজি কিনতে পেরে খুশি বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ।
বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) দুপুরে দেখা গেছে এ কর্মযজ্ঞ। দম ফেলার ফুরসত নেই তাদের।
ক্রেতাদের কাছে একটানা সবজি বিক্রি করতে ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা। ক্রেতার ভিড়ও চোখে পড়ার মতো। অনেকে ফুটপাত ধরে হেঁটে যাওয়ার সময় উঁকি মেরে দেখছেন, কেন এত জটলা। এমন পরিবেশের মূল কারণ এখানে বিক্রি হচ্ছে ন্যায্যমূল্যের সবজি।
উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন, কৃষকদের কাছ থেকে পণ্য কিনে ন্যায্যমূল্যে তা ভোক্তার হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে। বাজার স্থিতিশীল ও সিন্ডিকেট নির্মূল না হওয়া পর্যন্ত তাদের এই কার্যক্রম চলবে। আপাতত ৮ থেকে ১০ প্রকারের সবজি বিক্রি করা হলেও আগামীতে সবজিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সব পণ্যই বিক্রির আশা তাদের।
জনতার বাজারে বিক্রি করা সবজির মধ্যে দেখা গেছে, কেজিতে লাউ ২৫ টাকা, বেগুন ৩০ টাকা, চিচিঙ্গা ৩৫ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৪৫ টাকা, আলু ৩০ টাকা, কাঁকরোল ৪৫ টাকা, পটল ৩০ টাকা, ফুলকপি প্রতি কেজি ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যা বাজারের মূল্য থেকে প্রায় ১০ থেকে ৩০ টাকা কম।
সবজি কিনতে আসা মোহম্মদ আলী বলেন, নিত্যপণ্যের দাম অনেক বেড়ে গেছে। ৬০ টাকার নিচে সবজি পাওয়া যাচ্ছে না বাজারে। কিন্তু এখানে প্রায় সব সবজি ৫০ টাকার নিচে। বাজারে আলুর দাম ৬০ টাকা হলেও এখানে মাত্র ৩০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। তাই এখান থেকে সবজি কিনেছি।
ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাচালক সেনা খন্দকার বলেন, বাজারে গেলে সবজির দাম শুনে ভয় লাগে। আমাদের মতো নিম্নবিত্তের মানুষের জন্য জীবন চলা অনেক কঠিন হয়ে গেছে। আমি কম দামে সবজি বিক্রির উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা জানান, প্রথম দিন থেকেই বেশ সাড়া ফেলেছে এই ‘জনতার বাজার’। গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর, সুন্দরগঞ্জসহ আশপাশের বিভিন্ন এলাকার কৃষকের কাছ থেকে সরাসরি সবজি ক্রয় করা হচ্ছে। সেগুলো গ্রাহকের কাছে ন্যায্যমূল্যে বিক্রি করা হচ্ছে। এতে করে মানুষ কিছুটা স্বস্তি পাবে। বাজারেও এর প্রভাব পড়বে। সিন্ডিকেট বেকায়দায় পড়বে। যতদিন সিন্ডিকেট ভাঙতে পারব না, ততদিন এই কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার ইচ্ছে আছে আমাদের।