দেশজুড়ে

পূর্বধলা সরকারি হাসপাতাল পর্যবেক্ষণে শিক্ষার্থীরা

পূর্বধলা সরকারি হাসপাতাল পর্যবেক্ষণে শিক্ষার্থীরা

রুহুল সরকার পূর্বধলা (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি: নেত্রকোনার পূর্বধলায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পর্যবেক্ষণে করেছে শিক্ষার্থীরা।

বুধবার (১৪ আগস্ট) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ঘুরে সেবার মান দেখেন বৈষম্য বিরোধী শিক্ষার্থীরা। এ সময় তারা হাসপাতালের জরুরি বিভাগ, রোগীদের বিভিন্ন ওয়ার্ড, চিকিৎসকদের কক্ষ, টিকিট কাটার কাউন্টার, ল্যাবসহ বিভিন্ন কক্ষ ঘুরে দেখেন তারা।

এই সময় হাসপাতালে ভর্তি থাকা রোগী ও স্বজনদের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেন শিক্ষার্থীরা।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ঘুরে দেখেন শিক্ষার্থী সিদরাতুল হায়াত খান, হুমায়ূন তাজওয়ার পল্লব, ফজলে রাব্বি, নুরে আলম শুভ, এস এম সোহাগ তালুকদার, সামিউল আমিন, রাশেদ রাব্বি, লিয়াকত খন্দকার লিপলু, রাফিন আহমেদ প্রমুখ।

সামিউল আমিন বলেন, ‘হাসপাতালে দালাল চক্র যাতে করে হাসপাতালে ডুকতে না পারে প্রাথমিকভাবে সতর্ক করে আসছি। এরপর না মানলে আমরা তাদের আইন প্রয়োগকারী সংস্থার হাতে তুলে দিব। হাসপাতালে ডিউটির সময় প্রাইভেট চেম্বারে বসে রোগী দেখতে না করি ডাক্তারদের। রোগীরা যাতে কোনো দূর্ভোগের শিকার না হয়, সেদিকে ডাক্তারদের খেয়াল রাখতে বলি।’

আরেক শিক্ষার্থী হুমায়ূন তাজওয়ার পল্লব বলেন, ‘হাসপাতালের পরিচ্ছন্ন পরিবেশ বজায় রাখতে ডাক্তারসহ আমরা রোগীদের সঙ্গে কথা বলি। রোগীদের খাবারের মান ভালো দিতে বলি। সরকারি অ্যাম্বুলেন্স সেবা যাতে করে চালু রাখা হয় সে ব্যাপারে কথা হয়।

শিক্ষার্থী রাফিন আহমেদ বলেন, ‘আমরা আজ হাসপাতালে গিয়ে প্রথমে হাসপাতালের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা অটোরিকশা ও অন্যান্য গাড়ি গেইটের বাহিরে রাখার পরামর্শ দিই। এছাড়া হাসপাতালের আশপাশের সন্ধ্যার পর মাদকের উপদ্রব, চুরি, চিনতাই হয় শুনেছি। এখন থেকে হাসপাতালের নিরাপত্তার ব্যাঘাত ঘটে এমন কিছু আমরা ছাত্রসমাজ হতে দিবো না। দেশ সংস্কারের অংশ হিসেবে আমাদের এই কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।

নুরে আলম শুভ বলেন, আমরা স্বাস্থ্যখাতে সকল প্রকার অন্যায় ও বিশৃঙ্খলা নির্মূল করে সেবার মান বাড়াতে তদারকি কার্যক্রমে নেমেছি। আমরা রোগীদের কাছ থেকে তাদের ভোগান্তির কথা শুনেছি। টিকিটের অনিয়ম ও ভোগান্তি, চিকিৎসকদের ডিউটিতে আসার অনিয়ম, হাসপাতালে দালাল চক্রের দৌরাত্ম্য সহ বিভিন্ন কারণে ক্ষোপ প্রকাশ করেছেন হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা অনেক রোগী। এ ব্যাপারে হাসপাতাল কতৃপক্ষের সাথে কথা বলেছি।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ড: মাহমুদুল হাসান মামুন বলেন, হাসপাতালে যন্ত্রপাতি, পর্যাপ্ত জনবল না থাকায় পর্যাপ্ত সেবা দিতে পারছি না। হাসপাতালে সকল অনিয়ম ও দুর্নীতি রোধ করতে সদা সোচ্চার আছি এবং জনসাধারণ সেবা নিতে এসে কোন রকম হয়রানির স্বীকার হবেন না বরং তার প্রাপ্য চিকিৎসাটুকুই সঠিকভাবে পাবেন। ’শিক্ষার্থীদের এমন সুন্দর উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই।

এছাড়াও শিক্ষার্থীরা উপজেলা স্বাস্থ্য গেইটে অবস্থিত ১৬টি ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলিতে পরীক্ষা নিরীক্ষা যথাযথ ও প্রশিক্ষিত টেকনোলজিস্ট দ্বারা রিপোর্ট তৈরী করা, সরকারি নির্ধারিত ফি এর বেশি না নেওয়া, ডিটটি টাইমে হাসপাতালের কোন ডাক্তারকে চেম্বারে না আনার ব্যাপারে সর্তক করে।

শেয়ার করুন:

আরও খবর

Sponsered content