১৭ জুলাই ২০২৪ , ২:৪৬:৫১ প্রিন্ট সংস্করণ
পরকেয়া প্রেমে পাঁচ বছরের শিশু সন্তানকে ফেলে সাড় চার লক্ষ টাকাসহ প্রেমিকের অবৈধ সংসারে মা।
জয়পুরহাট থেকে রফিকুল ইসলাম ফিরোজ : জয়পুরহাটে পরকেয়া প্রেমের টানে পাঁচ বছরের শিশু সন্তানকে ফেলে সাড়ে চার লক্ষ টাকাসহ প্রেমিকের বাড়িতে চলে যাওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
প্রকাশ, গত ছয় বছর আগে জয়পুরহাট পৌরসভার আদর্শপাড়ার আঃ সোবাহানের ছেলে মোঃ আনোয়ার হোসেন জয়পুরহাট জেলার দুগাছি ইউনিয়নের আবু ছালেকের ডিভোর্সী কন্যা দুই সন্তানের মা মোছাঃ হাসনা হেনাকে বিয়ে করেন। বিয়ের প্রথম বছরেই কোল আলো করে আসে পুত্র সন্তান। শুরুতে ভাল ভাবে চললেও কিছুদিন পর হাসনা হেনার প্রথম স্বামী জয়পুরহাটের ছাওয়ালপাড়ার মৃত আজাহার উদ্দিনের ছেলে মানিক হোসেনের সাথে যোগাযোগ হয় এবং পরকেয়ায় জড়িয়ে পরেন। সর্বশেষ গত ১০ জুন হাসনা হেনা কাউকে না জানিয়ে পাঁচ বছরের ছেলেকে রেখে বাসায় রাখা ব্যবসা ও গরু বিক্রির টাকা নিয়ে চলে যায়। অনেক খোঁজাখুঁজির পর তাকে না পেয়ে ২য় স্বামী আনোয়ার হোসেন জয়পুরহাট সদর থানায় সাড়ে চার লক্ষ টাকাসহ তার স্ত্রীর নিখোঁজের জিডি করে। কয়েক দিন পর তার নামে হাসনা হেনা তালাকের নোটিশ পাঠায়। এবং জানা যায় সে তার প্রথম স্বামীর বাসায় আছে।
সরেজমিনে জয়পুরহাটের ছাওয়ালপাড়ায় মানিক হোসেনের বাড়িতে গেলে এর সত্যতা পাওয়া যায়। ডিভোর্সের তিন মাস ইদ্দত কালিন সময়ে পর না করে আবার বিয়ে করা অবৈধ জানালে সে শুরুতে বিয়ের কথা অস্বীকার করলেও পরে জানায়, নওগাঁর ধামুরইহাটের জাহানপুরে কাজীর কাছে তালাক রেজিস্ট্রার ও ঐ দিনই বিয়ে করে। এ ব্যাপারে কাজীর সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। হাসনা হেনা সাড়ে চার লক্ষ টাকা নিয়ে আসার কথা অস্বীকার করেন।এ ব্যাপারে মানিক হোসেন কোন কিছু জানাতে অপারগতা প্রকাশ করেন।
এলাকাবাসি জানান কয়েক দিন আগে এলাকার মানুষদের বৌভাত খাইয়ে মানিক তার আগের স্ত্রীকে নিয়ে আসে।তারা কতদিন আগে তালাক দিয়েছে বা ইদ্দত কালিন সময়ের আগেই আবার বিয়ে করেছে কিনা জানেননা। মানিক হোসেনের বর্তমানে আরেকজন বৌ আছে। নতুন করে বিয়ের আগে তার কাছে অনুমতি নিয়েছে কিনা প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন আমার কাছে অনুমতি নেয়ার কি আছে? আপনারা তো সবই দেখছেন।
জন সচেতনতার অভাবে এ রকম অবৈধ ভাবে সংসার করার সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে বলে সাধারণ মানুষ মনে করে। এর পিছনে কাজীদের অর্থের বিনিময়ে অবৈধ তালাক এবং বিয়ে দেয়ার প্রবনতাও দায়ী
এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন বলে ভুক্তভোগীরা মনে করেন।