ঢাকামঙ্গলবার , ৯ জুলাই ২০২৪
  1. kook
  2. অন্যান্য
  3. অপরাধ
  4. অর্থনীতি
  5. আইন
  6. আন্তর্জাতিক
  7. ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ
  8. ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশ
  9. ঈদগাঁও
  10. কক্সবাজার
  11. কুড়িগ্রাম
  12. ক্যাম্পাস
  13. খেলাধুলা
  14. চাকরি
  15. জাতীয়
আজকের সর্বশেষ সবখবর

অনানুষ্ঠানিকভাবে খোলা হলো বশেমুরবিপ্রবির প্রধান ফটক

Developer Zone
জুলাই ৯, ২০২৪ ১:২৭ অপরাহ্ণ
Link Copied!

অনানুষ্ঠানিকভাবে খোলা হলো বশেমুরবিপ্রবির প্রধান ফটক।

মোঃআসিব ইকবাল, বশেমুরবিপ্রবি প্রতিনিধি।

অনানুষ্ঠানিকভাবে খোলা হলো বশেমুরবিপ্রবির প্রধান ফটক।
দীর্ঘ চার বছর ধরে স্বল্প সংখ্যক লোকবল, দ্রব্যমূল্যের উর্দ্ধগতি, প্রকল্পের মেয়াদ বৃদ্ধি, কারিগরি ত্রুটিসহ নানাবিধ সমস্যায় জর্জরিত ছিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের(বশেমুরবিপ্রবি) প্রধান ফটকের নির্মাণ কাজ। দীর্ঘ আলোচনা-সমালোচনার পর অবশেষে অনানুষ্ঠানিকভাবে খুলে দেওয়া হয়েছে প্রধান ফটক।
আজ মঙ্গলবার(৯জুলাই) সকাল ১১ঘটিকায় খুলে দেওয়া হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক।
কার্যাদেশ শুরু হওয়ার পর থেকে নানাবিধ সমস্যায় মুখে পড়ে বশেমুরবিপ্রবির প্রধান ফটক নির্মাণ কাজ। এরপর কচ্ছপের ন্যায় ধীরগতিতে শুরু হয় কাজ। দীর্ঘ চার বছর ধরে চলমান কাজ অবশেষে সমাপ্তির পথে। তাই আপাতত উদ্ভোধন ছাড়াই ব্যবহৃত হচ্ছে ফটকটি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিকল্পনা দপ্তর সূত্রে আরও জানা যায়, এখনো কিছু কাজ বাকি রয়েছে। কাজগুলো সম্পন্ন হলে প্রধান ফটকটি উদ্ভোধন করা হবে। কাজের সুবিধার্থে অনানুষ্ঠানিকভাবে খুলে দেওয়া হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের এই প্রধান ফটকটি। আপাতত এই ফটকটি সবার জন্য উন্মুক্ত। তবে পূর্বে প্রধান ফটক হিসেবে ব্যবহৃত মন্দির ফটকটি আর ব্যবহার করা হবেনা। ওই ফটকটি স্থায়ীভাবে বন্ধ করে দেওয়া হবে।
প্রধান ফটক খুলে দেওয়ার অনুভূতি প্রকাশ করে লোকপ্রশাসন বিভাগ দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আশা বলেন, এই ফটকটি নিয়ে আমরা অনেক মজা করেছি। আর মজা করারই কথা। কারন একটি ফটক নির্মাণ করতে গিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যেসব কাজ করেছে তা আর না বলি। তিনি বলেন, আপাতত খুলে দিয়েছে । এতেই আমরা খুশি।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরে বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাঠামো উন্নয়নে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্প পাশ হয়। ওই বছরই নভেম্বরে প্রকল্প বাস্তবায়নে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নিয়োগ করা হয় । ২০১৪ থেকে ২০১৮ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রথম মেয়াদে ১০৫ কোটি টাকা বাজেটে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর কর্তৃক প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হয় ৷ ২০১৮ সালে নতুন করে ২৫৬ কোটি টাকায় পূর্বের প্রকল্পটির প্রথম সংশোধনী পাশ হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিকল্পনা, উন্নয়ন ও ওয়ার্কস দপ্তর এবং প্রকৌশল দপ্তরের মাধ্যমে প্রকল্পের মেয়াদ ২০২০ সালের জুন পর্যন্ত বৃদ্ধি করে বাকী অংশের কাজ বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত হয়। প্রধান ফটক এবং উপ-ফটক নির্মাণের জন্য আরডিপিতে ২ কোটি ৩৮ লাখ টাকা বরাদ্ধ করা হয়। যার প্রাক্কলিত মূল্য ধরা হয়েছিলো ২ কোটি ৩৮ লাখ ১০ হাজার টাকা।
ঠিকদারী প্রতিষ্ঠান কাজী মাহবুবুর রহমান ২ কোটি ১৪ লাখ ২৯ হাজার টাকা ব্যয়ে ২০২০ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারির মধ্যে ফটক নির্মাণের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়। কিন্তু করোনাসহ বিভিন্ন কারণে ২০২১ সালের জুন পর্যন্ত কাজ বন্ধ ছিল বলে জানায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিকল্পনা দপ্তর। পরে প্রকল্পের মেয়াদ বৃদ্ধি করে ২০২২ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত করা হয়। কিন্তু ২০২২ পেরিয়ে ২০২৪-এর মাঝামাঝি সময় পার হলেও প্রকল্পের কাজ শতভাগ শেষ হয়নি।

শেয়ার করুন:

এই সাইটে নিজস্ব সংবাদ প্রকাশের পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে সংগ্রহীত খবর সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করা হয়। কোনো সংবাদ নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে, অনুগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।

 

বিনা অনুমতিতে এই সাইটের প্রকাশিত সংবাদ, আলোকচিত্র, অডিও বা ভিডিও কনটেন্ট ব্যবহার করা আইনত দণ্ডনীয়।