দেশজুড়ে

অষ্টগ্রামে আওয়ামীলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত: ৩০পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশের ফাঁকা গুলি।

 

বিজয় কর রতন, ষ্টাফ রিপোর্টার কিশোরগঞ্জঃ মিঠামইন, কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি:-অষ্টগ্রাম উপজেলার আবদুল্লাহপুর ইউনিয়নে ৩রা মার্চ শুক্রবার সকালে আওয়ামীলীগের মুক্তার খাঁ গ্রæপের ও ইউনিয়ন সভাপতি রশিদ চেয়ারম্যান (সাবেক) গ্রæপের মধ্যে পূর্ব শত্রুতার জের হিসাবে সংঘর্ষে উভয় পক্ষে ৩০ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গিয়াছে। গুরুতর আহতরা হলেন, মুক্তার খাঁ গ্রæপের গোলজার খা ঁ(৩৫),সেলিম মিয়া(২৫),ইয়াছিন খাঁ(২৫),মুরশিদ খাঁ(৪০),শিবির খাঁ(৪০) রশিদ চেয়ারম্যান গ্রæপের ফকির শেখ(৩৫),জিয়াউর (৪০),কালা মিয়া(৫০)।তাদেরকে অষ্টগ্রাম উপজেলা হাসপাতাল সহ বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকি আহতরা হবিগঞ্জ ও আজমিরীগঞ্জ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। পুলিশ জানায়, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য ৫ রাউন্ড ফাঁকা গুলি করতে হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

এলাকায় পুলিশ ও মোতায়েন রয়েছে। জানা যায়,মিঠামইনে ২৮ শে ফেব্রæয়ারী প্রধানমন্ত্রীর আগমনকে কেন্দ্র করে আবদুল্লাহ পুর ইউনিয়নে প্রতিটি ওয়ার্ডে আওয়ামীলীগের কর্মীসভা অনুষ্ঠিত হয়।ঐ কর্মী সভায় বিপক্ষের লোকজনের মধ্যে সমাবেশে আগমন নিয়ে বিরোধ সৃষ্টি হয়।ঐ বিরোধের জের ও আবদুল্লাহ পুর বাজার নিয়ে ঝামেলাকে কেন্দ্র করে শুক্রবার সকালে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। গত দুইদিন যাবৎ আবদুল্লাহ পুর ইউনিয়নে আওয়ামীলীগের দুই গ্রæপের মধ্যে উওেজনা বিরাজ করছিলো। বৃহস্পতিবারে আবদুল্লাহ পুর এলাকায় পুলিশ মোতায়েন ছিল।শুক্রবার সকালেই আবার উওেজনা সৃষ্টি হয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে মুক্তার খাঁ গ্রæপ ও সভাপতি রশিদ চেয়ারম্যান, টীকাদার নুর ইসলাম গ্রুপ। দীর্ঘ দিন যাবৎ ও বিগত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনেরপর থেকেই বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দুটি গ্রুপের বিরোধ চলে আসতে ছিল।আবদুল্লাহ পুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মো: রশিদ মিয়া বলেন, মুক্তার খাঁ গ্রæপের লোকজন সকাল বেলা তাদের বাড়িতে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। এতে তার গ্রুপের কমপক্ষে ১৫ জন লোক আহত হয়েছে বলে তিনি জানান। আহতদের অষ্টগ্রামও বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।দীর্ঘ দিন যাবৎ মুক্তার খাঁ ও তার লোকজন এলাকায় প্রভাব বিস্তার করে আসছে।আবদুল্লাহ পুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো: আনোয়ার খাঁ জানান,শুক্রবার সকালে রশিদ চেয়ারম্যান ও নূরুল ইসলাম সরকারের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে চেয়ারম্যানের বাড়িতে চেয়ারম্যানকে আক্রমণের উদ্দেশ্যে হামলা চালায়। পরে তিনি তার লোকজন নিয়ে তাদেরকে বাড়ি থেকে সরে যেতে বলে। এরপরও আরও দুইবার হামলা হয়।তখন তার লোকজন তাদেরকে বাধা দিতে গেলে উভয় পক্ষের সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়।এতে মুক্তার খাঁ গ্রæপের একজন মহিলা সহ ১৫ জন আহত হন।তিনি রশিদ চেয়ারম্যান গ্রæপের নরুল ইসলাম সরকারের বাড়ির ছাদ থেকে গুলি ছুড়ার অভিযোগ করেন রশিদ চেয়ারম্যানের লোকজনের উপর। অষ্টগ্রাম থানার আবদুল্লাহ পুর তদন্ত কেন্দ্রের ওসি তদন্ত মো: রাশেদ মিয়া ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন। এছাড়াও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসতে পুলিশের ফাঁকা গুলি করতে হয়েছে। বর্তমানে এলাকায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। কোনো পক্ষই থানায় কোনো অভিযোগ দায়ের করেননি।অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

শেয়ার করুন:

আরও খবর

Sponsered content