নজরুল ইসলাম আলীমঃ-বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জের নিয়ামতি ইউনিয়ন পরিষদটি একটি জনবান্ধব মূলক ইউনিয়ন পরিষদ। সূত্র জানায়,স্থানীয় একটি সুবিধাবাদী কুচক্রী মহলের কারণে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয় বিশেষমহলের চতুর্মুখী ষড়যন্ত্রের কবলে পড়ে বেশকিছুদিন যাবত এ অবস্থার কারণে ব্যাপক ভােগান্তির শিকার হচ্ছেন সাধারণ মানুষ।নিয়ামতি ইউনিয়ন পরিষদে এধরণের অস্বাভাবিক পরিস্থিতির সৃষ্টির কারণ খুঁজতে গিয়ে বেরিয়ে এসেছে নেপথ্যের কাহিনী।সূত্র জনায়, নিয়ামতি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হুমায়ূন কবিরের সাথে নির্বাচনকেন্দ্রীক দন্দ্ব চলে আসছে একটি প্রভাশালীমহলের সাথে। স্থানীয়দের ভাষ্যমতে, ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান কামাল তালুকদারের নেতৃত্বে ক্ষমতাসীন দলের কয়েকজন স্থানীয় নেতা এই চক্রের সাথে জড়িত।সূত্রের দাবী অনুযায়ি, এই বিশেষমহলের চতুর্মুখী ষড়যন্ত্রর অব্যাহত থাকার কারণে চেয়ারম্যান হুমায়ূন কবির নানাভাবে নাজেহাল হচ্ছেন।স্থানীয় সূত্রের দাবী, প্রতিপক্ষ গ্রুপ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলা, বিভিন্ন দপ্তরে নামে-বেনামে মনগড়া অভিযোগ দিয়ে চরম হয়রানীর শিকার বানিয়ে নাজেহাল করছে হুমায়ূন কবির কে।এতে তার নিজের স্বাভাবিকজীবন হারিয়ে গেছে। অপরদিকে ব্যাহত হচ্ছে নিয়ামতি ইউনিয়ন পরিষদের স্বাভাবিক কার্যক্রম।উল্লেখযোগ্য বিষয় হচ্ছে- ”নিয়ামতি ইউনিয়ন পরিষদে অচলাবস্থা নিয়ে সাধারণ মানুষসহ প্রায় সকলের মধ্যে ব্যাপক শোরগোল শুরুর পর সরেজমিনে গিয়ে সাধারণ লোকজনসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সাথে কথা বলে এবং সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে যোগাযোগ করে এই সংবাদের তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করা হয়েছে”।নিয়ামতি ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার এবং স্থানীয়দের দাবী- ”সুলভ মূল্যের চাউল, ভিজিডি, ভিজিএফ, জেলেদের চাউল এবং ত্রানসামগ্রী বিতরণের ক্ষেত্রে জটিলতার সৃষ্টি হচ্ছে। এরকারণ হিসেবে তাদের দাবী ‘এগুলো যখন বিতরণের সময়, তখন চেয়ারম্যানকে দৌঁড়াতে হয় প্রতিপক্ষের মিথ্যা-মামলা সামাল দিতে। আবার কখনো মিথ্যা অভিযোগের সুরাহার জন্য ছুটতে হয় বিভিন্ন দপ্তরে।সূত্রমতে, উপজেলার নিয়ামতি ইউনিয়নে ৪১৬ জন তালিকাভুক্ত জেলে রয়েছেন। তাদের মধ্যে ১৫০জন জেলে প্রতিমাসে ৪০ কেজি করে দু’মাস পরপর মোট ৮০কেজি চাউল পায়।এসময় আমাদের এই প্রতিবেদককে ভিডিও সাক্ষাতকার দিয়েছেন স্থানীয় লোকজন। আজ ২৬ জুন তদন্ত শেষে উপজেলা মৎস্য অফিসার নাসির উদ্দিন জানান, অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়নি। এসময় অধিকতর তদন্তের কথা জানান তিনি।তদন্ত চলাকালীন নিয়ামতি ইউনিয়ন পরিষদ এলাকায় কথা হয় শতাধিক তালিকাভুক্ত জেলের সাথে। তাদের মধ্যে রয়েছেন নারী জেলে। তারা সকলে তদন্তকারী উপজেলা মৎস্য অফিসার নাসির উদ্দিনের কাছে সাক্ষ্য দিয়েছেন। তাদের মধ্যে নারী জেলে ফুল শরীফের স্ত্রী মমতাজ বেগম, সরকারের তালিকাভুক্ত সুবিধাভোগী জেলে সুখরঞ্জন দাস, হানিফ মৃধা, নির্মল শিকদার. কানাই দাস, সুনীল কুমার দেবনাথ, শাসু সিকদার রণজিৎ দাস, যাদব দাস এবং দুলাল সিকদার সহ শতাধিক জেলে বলেন, চাউল বিতরণের ক্ষেত্রে তারা কোনো অনিয়ম দেখছেন না। সঠিকভাবে চাউল বলেও তারা জানান। এসময় তারা দাবী করে বলেন- ”ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হুমায়ূন কবিরের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে একটি প্রতিপক্ষ গ্রুপ। তারা সহ স্থানীয়রা এ:ধরণের ষড়যন্ত্রের অবসান চেয়েছন।এবিষয়ে নিয়ামতি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হুমায়ূন কবির জানান, একটি কুচক্রীমহল ইউনিয়ন পরিষদের কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত করতে বিভিন্ন ধরণের ষড়যন্ত্র করেছে।উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ সাইফুর রহমান জানান, তদন্ত কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছ। তদন্ত শেষ হলে সত্য-মিথ্যা জানা যাবে। কেউ মিথ্যা অভিযোগ দিলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানান তিনি।