ঢাকারবিবার , ৩০ জুন ২০২৪
  1. kook
  2. অন্যান্য
  3. অপরাধ
  4. অর্থনীতি
  5. আইন
  6. আন্তর্জাতিক
  7. ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ
  8. ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশ
  9. ঈদগাঁও
  10. কক্সবাজার
  11. কুড়িগ্রাম
  12. ক্যাম্পাস
  13. খেলাধুলা
  14. চাকরি
  15. জাতীয়
আজকের সর্বশেষ সবখবর

পাহাড়তলী থানা এলাকার একটি বাড়ির লোকজনই চালায় মাদক সিন্ডিকেটে

Developer Zone
জুন ৩০, ২০২৪ ১২:১৫ অপরাহ্ণ
Link Copied!

পাহাড়তলী থানা এলাকার একটি বাড়ির লোকজনই চালায় মাদক সিন্ডিকেটে.

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি।
পাহাড়তলী থানার অন্তর্গত, হাজী আশরাফ আলী রোড়ের দফাদারবাড়ি নামক স্থানের প্রায় বেশ কয়েকটি পরিবার “ইয়াবা মাদক ” ব্যবসার সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। এমনকি বহিরাগত মাদক ব্যবসায়িদের আশ্রয় দাতা হিসেবে এলাকায় গুনজন রয়েছে।

স্থানীয় সচেতন মহলের মানুষদের সাথে কথা বলে জানা যায় এদের পুলিশ ধরে নিয়ে যায় তারা জামিনে বের হয়ে আবার একই কারবারের সাথে জড়িত হয়ে পড়ে এলাকায় প্রকাশ্যে কেউ এ বিষয়ে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে চাইলে তাকে মিথ্যা মামলায় ফাসানো সহ নানা রকম অত্যাচারের সম্মুখীন হতে হয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি বলেন মাদক ব্যবসার বেশ কিছু সিন্ডিকেট এখানে রয়েছে যাদের প্রধান কাজ প্রতিদিন পিসি রোড়ে চলতি গাড়ি থেকে লৌহা নামানো এবং ইয়াবার খুচরা চালান বিক্রি।

গোপন সূত্রে জানা যায় সিন্ডিকেটের মূলে আছে আশরাফ আলী রোড়ের দফাদার বাড়ির মৃত মুসলিম খানের পুত্র রাজু খান,
একই বাড়ির শাহাজানের পুত্র রিয়াদ যে আবার শেলটার দাতা, ইয়াবার ডিলার শহিদ।
দফাদারবাড়ির ঠিক পিছনের অংশ রুপব্বান কলোনী এখানে আছে সিন্ডিকেট মেম্বার ইয়াবা সাদ্দাম, মৃত মোফাজ্জলের পুত্র জাহেদ, ফরিদ, রাজু-খান, রাজু খানের আপন ছোট ভাই আবার করেন খুচরা বিক্রি।

রিয়াদ, জাহেদ , শহিদ, একাধিক মামলার আসামী হলেও বহাল তবিয়তে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে, চুপিসারে চালাচ্ছে রাজু-খান। খবর নিয়ে জানা যায় রাসেল খন রাজু খানের আপন ছোট ভাই, সে খুচরা ইয়াবা বিক্রি সহ ছিনতাই, চুরি এবং প্রতারণা করে চলে বলে এলাকার লোকজন থেকে খবর পাওয়া যায়।

শহিদ এবং রিয়াদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে একটি সক্রিয় ছিনতাইকারি চক্র এবং পাইকারি সাপ্লাইয়ার গ্যাং, যাদের প্রধান কাজ হল ইয়াবা ব্যবসায় কেউ বাধা দিলে তাকে হামলা করে ভয় ভিতি দেখানো, লৌহা চুরি, ছিনতাই করা, ইয়াবার পাইরি সাপ্লাই সচল রাখা। তাদের মধ্যে অন্যতম হল হানিফের পুত্র আলাউদ্দিন, আলাউদ্দিনের ফুফাতো ভাই শাহীন, নয়নতারাপুত্র হৃদয়, জাকির, সবুজ, গোপাল, মুহিন, বেলাল হোসেন শাওন, ফারদিন, শুক্কুর সহ আরো বেশ কয়েকজন।

খবর নিয়ে জানা যায় গরুর খামার সহ বেশ কিছু স্থায়ী সম্পত্তির মালিক বনে গিয়েছেন রাতারাতি সিন্ডিকেট মেম্বার রাজু-খান।

উল্লেখ্য ২০২৩ সালে শেষের দিকে রুপব্বান কলোনীতে পাহাড়তলী থানা পুলিশের মাদক নির্মুল অভিযানে গিয়ে এই সিন্ডিকেটের মাদক কারবারিদের হাতে আহত হয় তৎকালীন পাহাড়তলী থানার এস আই সাহেদ, একই সাথে তারা মনির ওপরও হামলা চালায়। পুলিশের ওপর হামলার পরও মাদক কারবারিরা বহাল তবিয়তে সক্রিয় আছে যা স্থানীয়দের ভিতির কারণ হয়ে দাড়িয়েছে।

এলাকার আনাচে কানাচে কে মাদকের ডিলার, কে সাব ডিলার, কে খুচরা বিক্রেতা এসব খবর দিয়ে পুলিশকে সহায়তা করায় কাল হয়ে দাড়িয়েছে মনির জন্য। মনি (ছদ্মনাম) জানান তিনি এদের কারনে যে কোন সময় মারা যেতে পারে, নামে বেনামে বিভিন্ন ভাবে প্রতিনিয়ত হুমকির মুখে দিন কাটাচ্ছে মনি।

মনি তার বক্তব্যে বলেন গত কিছুদিন আগে মাদক বিক্রেতার সক্রিয় সদস্য রা তার উপর অতর্কিত হামলা করে গলার মধ্যে কলম ডুকিয়ে প্রাণ নাশের চেষ্টা করে। তার গলায় এখনো ঐ কলম ডুকানোর চিহ্ন বিদ্যমান। সে বলে মাদক কারবারিরা আমাকে চোর অথবা ছিনতাইকারি সাজিয়ে গণধোলাই দিয়ে হত্যার পরিকল্পনা করছে।

এমন ভয়াবহ সিন্ডিকেটের কাছে প্রশাসন কতটুকু সোচ্চার এ বিষয়ে জানতে চেয়ে ডিসি পশ্চিম কে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন মাদকের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান চলছে চলবে।

এ বিষয়ে মুঠোফোনে পাহাড়তলী থানার ওসি কেপায়েত উল্লাহ বলেন, মাদক কারবারির জন্য কোন ছাড় নেই, আমারা মাদক কারবারিদের ধরে আনি তারা জামিনে ছাড়া পেয়ে আবার একই কাজে জড়িত হয়। অভিযোগ এবং সত্যতা পেলে মাদক কারবারি যে হোক কোন ছাড় নেই বলে জানান।

সম্প্রতি পুলিশ কমিশনার বরাবর ভুক্তভোগীর করা এক অভিযোগে এ সব মাদক কারবারি সিন্ডিকেট সম্পর্কে জানা যায়।

শেয়ার করুন:

এই সাইটে নিজস্ব সংবাদ প্রকাশের পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে সংগ্রহীত খবর সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করা হয়। কোনো সংবাদ নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে, অনুগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।

 

বিনা অনুমতিতে এই সাইটের প্রকাশিত সংবাদ, আলোকচিত্র, অডিও বা ভিডিও কনটেন্ট ব্যবহার করা আইনত দণ্ডনীয়।