ফরিদপুর প্রতিনিধি :
ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার ৩ নং আলফাডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদ১,২,৩ নং ওয়ার্ড বার বার সংরক্ষিত মহিলা সদস্য,উপজেলা পরিষদ সংরক্ষিত সদস্য,উপজেলা নারী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক এবং বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব সমবায় সমিতির সভাপতি শুকুর হাটা গ্রামের মোসা. মর্জিনা বেগম(৬৫) কে পায়ের জুতা খুলে হাতে নিয়ে মারার হুমকি দিয়ে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে।
গত সোমবার দুপুর একটা ৪৭ মিনিটের সময় ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে রুমে ভিতর টিসিবির পণ্য বিতরণের সময় লাঞ্ছিত করায় মর্জিনা বেগম বাদী হয়ে আলফাডাঙ্গা থানায় মো. শাহিন মোল্লা সহ তিন জনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দেন।সরজমিন ঘুরে জানা যায়, টিসিবির পণ্য বিতরণের সময় পরিষদ রুমে একই গ্রামের বাসিন্দা শাহিন মোল্লা সাদা কাগজের স্লিপ নিয়ে পণ্য নিতে গেলে মর্জিনা কার্ড দেখতে চায়। সে কার্ড দেখাতে অপারগতা দেখায়। তার( শাহিন) দাবি কার্ড দেখে স্লিপ দিয়েছে আপনাদের কার্ড দেখাতে হবে কেন ।তারপর দুই জনের মধ্যে বাক বিতন্ড জড়িয়ে পরে।

আরো জানা যায়, শাহিনের হাতে থাকা স্লিপ ওই গ্রামের শওকত হোসেনের ভাতিজার পরিবারের কার্ড।তবে দুই জন-ই জুতো খুলে হাতে উঠিয়ে একে অপরকে মারার হুমকি দেয় ।এদিকে ৭ ৮ ৯ নং ওয়ার্ড সংরক্ষিত মহিলা সদস্য মনি তারা মুঠোফোনে বলেন, আমরা তিন মেম্বার ওই খানে উপস্থিত থেকে টিসিবির পণ্য সঠিক ভাবে বিতরণের সহযোগিতা করি ।শাহিন আগেও পণ্য নিয়েছে। ফের তার হাতে স্লিপ দেখলে কার্ড দেখতে বলি। সে কার্ড বাড়িতে রেখে এসেছে বলে জানায়। মর্জিনা ও কার্ড ছাড়া পণ্য দিতে রাজি না থাকায় তার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে বাক বিতন্ড জড়িয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজও জুতা হাতে নিয়ে মারার হুমকি দিয়ে লাঞ্ছিত করে। মর্জিনা বলেন, চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন বুলবুল বলেছে কার্ড দেখে যাচাই-বাছাই করে সঠিক কার্ড ধারীদের ছাড়া টিসিবির পণ্য দেওয়া হবে না। শাহীনকে কার্ড ছাড়া পন্য দেওয়া হবে না বললে পূর্ব শত্রুতার জেরে আমার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে বার বার জুতা উচু করে মারতে আসে জুতা ছুড়ে মারে এবং গলা ধাক্কা দেয়। এভাবে স্লিপের পণ্য দিলে প্রকৃত কার্ড ধারীরা পণ্য পায় না, দিন শেষে ফেরত যায়। এভাবে কিছু লোক মাসের পর মাস একাধিকবার পণ্য নেয় বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। এ অন্যায়ের প্রতিবাদ করায় আমি লাঞ্চিত হয়েছি। আমি এর উপযুক্ত শাস্তির দাবি করি।এদিকে শাহিন মোল্যা বলেন,আমি আমার মা কার্ড নিয়ে টিসিবির পন্য আনতে যাই,অন্য কারো কার্ড নেই নাই।মেম্বর আমাকে বাধা দেয় বলে কথা-কাটাকাটি হয়।উনি বয়সে বড় তাই উল্ট সে আমাকে বিশ্রী ভাষায় গালিগালাজ ও তার পায়ের সেন্ডেল খুলে আমাকে মারতে আসে।আমি তাকে কোন অশালীন ভাষা ও জুতা দেখাই নাই।সে যে অভিযোগ করেছে তা ভিত্তিহীন,বানোয়াটি ঐ খানে অনেক লোক ছিল তারা সবাই প্রমান করবে।ইউনিয়ন চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন বুলবুল বলেন,দুই পক্ষের মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়।উভয় পক্ষে দোষগুন আছে। আমি উভয় পক্ষকে নিয়ে বসে ছিলাম।তারপর কোথাও কোন অভিযোগ করেছে কি না আমার জানা নাই।১নং ওয়ার্ড মেম্বর শওকত হোসেন বলেন,দুইজনের মধ্যে বাকবিতন্ড হয়েছে।তবে উভয়কে নিয়ে বোর্ড অফিসে কোন বসাবসি বা কোন আলোচনা হয়নি। আলফাডাঙ্গা থানার এস আই ইনুচ আলী বিশ্বাস বলেন,ইউপি সদস্য মর্জিনা বেগম ১৩ মার্চ অভিযোগ দিয়েছে,অভিযোগ আমার হাতে আছে।মধুখালি ইউপি নির্বাচন ডিউটিতে এসেছি।থানায় এসে তদন্ত করে ব্যবস্হা নেওয়া হবে।