এম আবু হেনা সাগর,ঈদগাঁও
অপরুপ সৌন্দর্য্যের লীলাভূমি কক্সবাজার। দেশের সর্ব দক্ষিণের জেলাটি সাগর-পাহাড়ের মিতালি গড়েছে এক মনোমুগ্ধকর। যার সুনাম ও সুখ্যাতি এখন দেশ পেরিয়ে বিশ্বব্যাপী। দেশি-বিদেশি ভ্রমণ পিপাসু হাজার হাজার পর্যটক কক্সবাজারে ভ্রমণে ঘুরতে আসেন প্রতিক্ষনে প্রতিমুহুর্তে।
পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকতের পাশাপাশি রয়েছে মেরিন ড্রাইভ। শহরের কলাতলী থেকে টেকনাফ পর্যন্ত মেরিন ড্রাইভের দু’পাশ জুড়ে পাহাড়-সাগরের অপরুপ দৃশ্য কক্সবাজারকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছে।
এককালে কক্সবাজারের পরিচিতি ছিল পালংক্যি নামে আবার প্যানোয়া নামেও ছিনতো। বহুবছর পূর্বে ইংরেজ কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন হিরাম কক্স একটি বাজার স্থাপন করেন। এটি ‘কক্স সাহেবের বাজার’ নামে পরিচিতি লাভ করেছিল। সেখান থেকে ‘কক্সবাজার’ নামের উৎপত্তি।
দেশের একমাত্র ফিশ অ্যাকুরিয়াম কক্সবাজারে। বিচ বাইকিং, ওয়াটার বাইকিং, কক্স কার্নিভাল সার্কাস, ওপেন এয়ার বিচ কনসার্ট, নারী-পুরুষের সার্ফিং, শিশুপার্ক ইত্যাদি দর্শনার্থীদের মনে বিনোদনে আনন্দ মেঠায়। জেলায় গড়ে উঠেছে দেশের বৃহৎ সামুদ্রিক মৎস্যবন্দর। এছাড়া সবচেয়ে বড় সি অ্যাকুরিয়াম ও সাবমেরিন ক্যাবল ল্যান্ডিং স্টেশনের অবস্থান। রয়েছে বার্মিজ মার্কেট- যেখানে নানা দেশের বিভিন্ন পণ্য ও আচার সামগ্রীর হরেক রকমের সমাহার। সৈকত এলাকায় লাইটিং করার কারনে পর্যটকরা রাতেও সৈকতের অপরূপ সৌন্দর্য্য উপভোগ করতে পারছেন।
পর্যটকদের থাকার সু-ব্যবস্থা সরুপ কক্সবাজার হোটেল-মোটেল জোন এলাকায় গড়ে উঠেছে আবাসিক হোটেল, মোটেল ও কটেজ।
চট্টগ্রাম দোহাজারি থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত রেললাইন নির্মাণের কাজ প্রায় সমাপ্তির পথে। সবঠিক থাকলে দ্রুত রেল আসবে কক্সবাজার শহরে। তখন দেশি-বিদেশি পর্যটকের আগমন ঘটবে আরো বেশি।
এছাড়া কক্সবাজারে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সম্প্রসারণের কাজ এগিয়ে চলছে। এখানে সমুদ্রের লোনা জল ছুঁয়ে বিমান উঠানামা করবে। রাজধানী ঢাকাসহ অন্যান্য শহর ও বহির্বিশ্বের সাথে কক্সবাজারের যোগাযোগ ব্যবস্থার বৈপ্লবিক পরিবর্তন ঘটবে। এতে কক্সবাজারের পর্যটন শিল্পের আরো বিকাশ ঘটবে।
মহেশখালী মাতারবাড়িতে বঙ্গোপসাগরের উপকূলজুড়ে গড়ে তোলা হচ্ছে গভীর সমুদ্রবন্দর।
চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজারে সড়কপথের দূরত্ব ১শত ৫৮ কিলোমিটার। তবে কর্ণফুলি নদীর তলদেশ দিয়ে নির্মিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল চালু হলে এই দূরত্ব আরো কমবে।
দেশের নদীবন্দরগুলো থেকে নৌপথেও কক্সবাজারে আসার সুযোগ রয়েছে। ইতোমধ্যে চট্টগ্রাম থেকে সমুদ্রপথে কক্সবাজার-সেন্টমার্টিন পর্যন্ত জাহাজ সার্ভিস চালু হয়েছে।